যোগী সরকারের নেতৃত্বে উত্তর প্রদেশ দেশে তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে পরিণত
লখনউ, ৩০ ডিসেম্বর (হি.স.): মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তর প্রদেশ রাজ্য স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০২৫ সালে উদ্ভাবন, উদ্যোগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সাফল্যের ফলে উত্তর প্রদেশ বর্ত
যোগী সরকারের নেতৃত্বে উত্তর প্রদেশ দেশে তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে পরিণত


লখনউ, ৩০ ডিসেম্বর (হি.স.): মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তর প্রদেশ রাজ্য স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০২৫ সালে উদ্ভাবন, উদ্যোগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সাফল্যের ফলে উত্তর প্রদেশ বর্তমানে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে রাজ্যে প্রায় ৫ হাজার নতুন স্টার্টআপ তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এর ফলে রাজ্যে মোট স্টার্টআপের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫৫৯। শিল্প সংবর্ধন ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতর (ডিপিআইআইটি)-এ নিবন্ধিত স্টার্টআপের সংখ্যা ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ছিল প্রায় ১৬ হাজার, যা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর নাগাদ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার স্বীকৃত স্টার্টআপের সংখ্যা বর্তমানে ১৮ হাজার ৫৬৮ এবং ‘স্টার্ট ইন ইউপি’ পোর্টালে নিবন্ধিত স্টার্টআপের সংখ্যা ২ হাজার ৯৯১। পাশাপাশি, আইআইটি কানপুরের স্টার্টআপ ইনকিউবেশন অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার (এসআইআইসি)-এ বর্তমানে ৫২১টি স্টার্টআপ সক্রিয় রয়েছে।

রাজ্যের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে মহিলাদের অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ৯ হাজারেরও বেশি স্টার্টআপ মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত, যা মহিলা উদ্যোগ ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, উত্তর প্রদেশ সরকার স্টার্টআপ কার্যক্রমকে কেবল বড় শহরগুলিতে সীমাবদ্ধ রাখেনি। বর্তমানে রাজ্যের সমস্ত ৭৫টি জেলায় স্টার্টআপ কার্যক্রম সক্রিয় রয়েছে। নয়ডা, গাজিয়াবাদ, লখনউ ও কানপুরের পাশাপাশি বুন্দেলখণ্ড, পূর্বাঞ্চল ও তরাই অঞ্চলেও এগ্রিটেক, ফুড প্রসেসিং, হ্যান্ডলুম, ডেয়ারি এবং স্থানীয় পরিষেবা ভিত্তিক স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে। এর ফলে গ্রামীণ ও মফস্বল অঞ্চলে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যুব উদ্যোগ উন্নয়ন অভিযান, মহিলা স্টার্টআপ প্রণোদনা প্রকল্প এবং সহজ আর্থিক সহায়তা ব্যবস্থা স্টার্টআপগুলিকে উৎসাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্টার্টআপগুলিকে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিতে রাজ্যে বর্তমানে ৭৬টি ইনকিউবেটর এবং ৭টি সেন্টার অফ এক্সেলেন্স কার্যকর রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি মেন্টরশিপ, প্রযুক্তিগত সহায়তা, গবেষণা সহায়তা এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করছে।

আইটি, ইলেকট্রনিক্স, হেলথটেক, এগ্রিটেক এবং গ্রিন এনার্জি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার অফ এক্সেলেন্সগুলি রাজ্যের উদ্ভাবনী পরিবেশকে আরও শক্তিশালী করেছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌমি বৈদ্য




 

 rajesh pande