
আগরতলা, ৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : দিল্লি-লখনউ জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক যান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ২৩ বছর বয়সী মেডিকেল ইন্টার্ন সপ্তর্ষি দাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সোমবার আগরতলায় রামনগরে তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। তিনি শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানান এবং তরুণ চিকিৎসকের অকাল প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
গত সপ্তাহে একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় উল্টে যায় ইন্টার্নদের বহনকারী একটি গাড়ি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সপ্তর্ষি দাস, অর্ণব চক্রবর্তী, আয়ুষ শর্মা ও শ্রেষ্ঠা পাঞ্চোলি। লখনউয়ের ভেঙ্কটেশ্বর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস ইন্টার্নশিপ শেষ করতে মাত্র তিন মাস বাকি থাকতেই এ দুর্ঘটনা সম্ভাবনাময় তরুণদের জীবন থামিয়ে দেয়।
অন্যদিকে, সারা দেশে বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় সপ্তর্ষির মৃতদেহ দিল্লি থেকে আগরতলা পৌঁছাতে চরম ভোগান্তির শিকার হন পরিবার। বারবার ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় মৃতদেহ কখনও মর্গে ফিরিয়ে নেওয়া, কখনও হোটেলে থাকা এবং আবার নতুন ভ্রমণসূচি তৈরি—এই যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় পরিবারের সদস্যদের। সপ্তর্ষির মা অর্পিতা দেব সরকার জানান, শেষ মুহূর্তেও ফ্লাইট বাতিলের কারণে তিনদিন ধরে মৃতদেহ পরিবহন অনিশ্চয়তায় ঝুলে ছিল।
অবশেষে সোমবার বিকেলে মৃতদেহ আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে পৌঁছে রামনগরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুমহলের ভিড়ে শোকের আবহ তৈরি হয়।
তরুণ চিকিৎসকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রতিভাবান এক যুবকের জীবন থেমে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবারকে এই কঠিন সময়ে শক্ত থাকতে হবে।”
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ