চোখের জলে শেষ বিদায় হাফলঙের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মিস রমা বন্নারকে
হাফলং (অসম), ৩ মে (হি.স.) : চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হল হাফলঙের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা সমাজসেবী মিস রমা বন্নারকে। ডিমা হাসাও জেলা সদর শহর হাফলঙের রাজপথে প্রয়াতের শেষযাত্রায় শামিল হয়েছেন তাঁর প্রাক্তন ছাত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী নন্দিতা গার্লোসা সহ বর
শেষ বিদায় হাফলঙের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মিস রমা বন্নারকে


হাফলং (অসম), ৩ মে (হি.স.) : চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হল হাফলঙের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা সমাজসেবী মিস রমা বন্নারকে। ডিমা হাসাও জেলা সদর শহর হাফলঙের রাজপথে প্রয়াতের শেষযাত্রায় শামিল হয়েছেন তাঁর প্রাক্তন ছাত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী নন্দিতা গার্লোসা সহ বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ থাকার পর গতকাল শুক্রবার ভোর ০৩:১৫ মিনিট নাগাদ কনভেন্ট রোডে নিজস্ব বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন হাফলং সেইন্ট অ্যাগনেস কনভেন্ট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষিকা মিস রমা বন্নার।

আজ শনিবার তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে হাফলঙের গ্রেভ ইয়ার্ডে। এদিন প্রথমে প্রয়াত মিস বন্নারের মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় সেইন্ট অ্যাগনেস কনভেন্ট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে। এখানে প্রয়াতকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা। তার পর মিস বন্নারের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ডন বসকো চার্চে। সেখানে প্রয়াতের আত্মার চির শান্তি কামনা করে অনুষ্ঠিত হয় প্রার্থনা। এর পর দুপুর ১২টায় মিস রমা বন্নারের নশ্বর দেহ গ্রেভ ইয়ার্ডে সমাধিস্ত করা হয়েছে।

মিস রমা বন্নারের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। তিনি ১৯৭৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাফলং সেইন্ট অ্যাগনেস কনভেন্ট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে যোগ দিয়ে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

৪৭ বছর সেইন্ট অ্যাগনেস কনভেন্ট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে শিক্ষকতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। মিস রমা বন্নার ছাত্রছাত্রীদের সব সময় নিজের ছেলেমেয়ে ভাবতেন। যাঁরা অর্থের অভাবে পড়াশোনা চালাতে সমস্যার সম্মুখিন হতেন, সে সকল ছাত্রছাত্রীদের তিনি নিজের খরচায় পড়াশোনা করাতেন। মাঝপথে অর্থের অভাবে কোনও ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাক সেটা তিনি কোনও দিনই ভাবতেন না। তাঁর এই মহানুভবতা এবং শিক্ষকতার জন্য সবাই মিস রমা বন্নারকে শ্রদ্ধা করতেন।

প্রয়াত মিস বন্নার যে শুধু একজন শিক্ষক ছিলেন তা নয়। তিনি একজন সমাজসেবী হিসেবেও সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পাহাড়ি জেলায় শিক্ষা ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব




 

 rajesh pande