রায়পুর, ৩১ মে (হি.স.): অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর রাষ্ট্রীয় কার্যকারিণী

বৈঠক শনিবার ছত্তিশগড়ের রায়পুরে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ঐতিহ্যবাহী প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রতিনিধিদের স্বাগত জানানো হয় ছত্তিশগড়ের লোকনৃত্য ও স্থানীয় বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে। বৈঠকে আলোচনার জন্য চারটি মূল প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এই প্রস্তাবগুলি হল- দেশব্যাপী কোচিং ইনস্টিটিউট গুলির নিয়ন্ত্রণ, উপাচার্য নিয়োগে বিলম্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও আইনি জটিলতার কারণে সৃষ্ট অস্থিরতা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের ও সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিশ্বের দরবারে ভারতের বহুমুখী উদ্যোগ। এই প্রস্তাবগুলি আগামী দুই দিন ধরে আলোচনা করা হবে এবং ৩১ মে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবিভিপি-র রাষ্ট্রীয় সভাপতি ডঃ রাজশরণ শাহী বলেন, “পহেলগামের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা মানব ইতিহাসে এক কলঙ্ক। আমরা অহিংসার অনুসারী হলেও, হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিরোধে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা 'অপারেশন সিঁদুর'-এ ভারতীয় সেনাবাহিনী করে দেখিয়েছে। বর্তমান সময়ে উপাচার্য নিয়োগে বিলম্ব আমাদের ভবিষ্যতের প্রতি অবহেলার প্রতীক। আমাদের শিক্ষাঙ্গনকে সৃজনশীল ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলতে হবে যাতে ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক বিকাশ সম্ভব হয়। এবিভিপির রাষ্ট্রীয় কার্যকারিণী বৈঠক শিক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার একটি দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করবে এবং তা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের পথ দেখাবে।”

এবিভিপি রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডঃ বীরেন্দ্র সিং সোলাঙ্কি বলেন, “সমাজে গঠনমূলক পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের সংগঠনের কাজের ধরণ ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে। এবিভিপি গোটা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বামপন্থী ও নেতিবাচক মানসিকতার বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। যখন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জঙ্গিদের দমন করছে, তখন এবিভিপি কার্যকর্তারা বামপন্থী ঘাঁটি ভাঙছে— উদাহরণ এই বছরের জেএনইউ ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্রযুব কেন্দ্রিক নীতি প্রণয়নে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / রাকেশ