দুর্গাপুর, ১ জুন (হি.স.): 'অমৃতভারত স্টেশন' প্রকল্পে রেলস্টেশনগুলিকে আধুনিকীকরণের জোর প্রচার চলছে। অথচ পশ্চিম বর্ধমানের গুরুত্বপূর্ণ আসানসোল-বর্ধমান লোকাল রুটে রাত ৮টার পর ট্রেন পরিষেবা প্রায় নেই বললেই চলে। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন নিত্যযাত্রী এবং দিনমজুররা। বহুবার আবেদন করেও কোনও সমাধান মেলেনি বলে অভিযোগ।
এই রুট দিয়ে হাওড়া-বর্ধমান-দুর্গাপুর-আসানসোল হয়ে কলকাতা-দিল্লি যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ লাইনে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষ যাতায়াত করেন। সকালবেলায় কিছু ট্রেন থাকলেও রাত আটটার পর বর্ধমান থেকে আসানসোলের দিকে আর কোনও লোকাল ট্রেন চলে না। আবার দুর্গাপুর থেকেও রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত নেই কোনও ট্রেন। ফলে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার উপায় না পেয়ে অনেককেই স্টেশনেই রাত কাটাতে হয়।
শ্রমিকদের দাবি, “আমরা বহুবার আসানসোল ডিভিশনে এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের কাছে ট্রেন বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছি। কিন্তু ধনী যাত্রীদের জন্য বন্দে ভারত, অমৃতভারত ট্রেন এলেও আমাদের মত গরিবদের জন্য একটি রাতের লোকাল ট্রেনও বরাদ্দ হয়নি।”
জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সমীর বিশ্বাস বলেন, “অমৃতভারতের মোড়কে স্টেশন সাজানো হলেও গরিব দিনমজুরদের যাতায়াতের দুর্দশা থেকে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর লোকাল ট্রেন চালু করা দরকার।”
দুর্গাপুর চেম্বার অব কমার্সের সদস্য গৌতম সাহার বক্তব্য, “দুর্গাপুর-হাওড়া রুটে অন্তত একজোড়া বাতানুকুল লোকাল ট্রেন চালু করা হোক, আমরা বহুদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছি।”
রেল সূত্রে জানা গেছে, এই রুটে ট্রেনের তুলনায় লাইনের সংখ্যা কম। পণ্যবাহী মালগাড়ির চাপও রয়েছে। মাঝে মাঝে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লাইন ব্লক করায় ট্রেন বাতিল বা দেরির ঘটনাও বেড়েছে। আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক বিপ্লব বাউরি জানিয়েছেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা