খোয়াই (ত্রিপুরা), ১ জুন (হি.স.) : খোয়াই নদীর অববাহিকায় অবস্থিত রাজ্যের অন্যতম একটি কৃষি সমৃদ্ধ জেলা খোয়াই। অতিবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজ্যের খোয়াই জেলা। বৃদ্ধি পেয়েছে মহকুমার খোয়াই নদীর স্বাভাবিক জলস্তর। একটানা হালাকা ও মাঝারি বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জায়গার সাথে খোয়াই মহকুমার শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে ছন্দপতন স্বাভাবিক জনজীবনে। ক্ষতির মুখে কৃষিক্ষেত্র।
অনাবৃষ্টি বা অতিবৃষ্টি দুটোই অত্যন্ত ক্ষতিকারক কৃষিক্ষেত্রের জন্য। প্রথমে অনাবৃষ্টি এবারে অতিবৃষ্টিতে খোয়াই মহকুমায় ব্যাপক ক্ষতি ফসলের। টানা কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপের জেরে বিভিন্ন জায়গার সাথে খোয়াই মহকুমাজুড়েও চলছে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত। বেড়েছে খোয়াই নদীর স্বাভাবিক জলস্তর। এতে ক্ষতিগ্রস্থ তেলিয়ামুড়া মহকুমার মোহর ছড়া, কল্যাণপুর, কৃষ্ণপুর, ঘিলাতলি, বাগবের সহ বিভিন্ন কৃষিপ্রধান এলাকার ফসল।
দাঁচূড়া কলোনি এলাকার কনক ঘোষ নামের এক চাষি জানালেন, একটানা বৃষ্টির জেরে সব্জি কিংবা ধানের জমিতে কাজ করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে গেছে জমিতে। ফলে পচন ধরবে সব্জিতে। নষ্ট হবে ধানের চারা। ফসলে বাড়বে পোকার আক্রমণ। বেগুন, ঝিঙে, বরবটি, শষা সহ বিভিন্ন মরসুমী ফসলের চাষ করা হয়েছে গোটা এলাকায়। গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার নির্ভরশীল এই চাষাবাদের উপর।
ঠিক একই ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ খোয়াই মহকুমা এলাকার রামচন্দ্র ঘাট, চেবরী, সোনাতলা, অজগরটিলা, জাম্বুরা, গনকি, শহর এলাকা, দুর্গানগর, সিঙ্গীছড়া। খোয়াই পুর এলাকা এবং আশপাশের বাজারে এই এলাকা থেকেই আমদানি হয় বিভিন্ন সব্জি। কিন্তু অতিবৃষ্টির ফলে এবারে নষ্ট হবে ফসল, ফলে মাথায় হাত কৃষকদের।
এলাকার আরও এক কৃষক হতাশার সুরে জানান, অধিক বৃষ্টি সবকিছুই শেষ করে দিয়েছে। বৃষ্টির জন্য সব ফসলের গোড়ায় জল লেগে যাওয়ায় পচন ধরবে ফসলে। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা। এখন সেই ফসল তারা কিভাবে রক্ষা করবেন এনিয়েই চিন্তিত কৃষক পরিবারগুলি।
জাম্বুরা এলাকার নিতাই দাস নামের কৃষক পরিবারের এক সদস্য জানান, বৃষ্টির জন্য তাদের সব ফসল নষ্টের মুখে। তারা জমিতে ধানের চারা লাগিয়েছেন। এদিকে জমির পাশে খোয়াই নদীতেও বাড়ছে জলস্তর। ফলে বন্যা হলে রোপন করা ধান কিভাবে রক্ষা করবেন এনিয়েই চিন্তায় পড়েছেন তারা।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ