গুয়াহাটি, ১২ জুন (হি.স.) : ঘুষের টাকা নিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)-র আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়েছেন শিলঙে অবস্থিত নর্থ-ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটি-র জনৈক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। বহু মূল্যের সরবরাহ চুক্তির সুবিধা করে দিতে ঘুষ বাবদ ৩.৪৩ লক্ষ টাকা নিচ্ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ধরা পড়েছেন এক সরবরাহকারীও।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি জারি করে সিবিআই জানিয়েছে, বুধবার গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউসে এক স্টিং অপারেশন চালিয়ে নর্থ-ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটি (শিলং)-র লাইফ সায়েন্সের ডিন তথা জু-লজির অধ্যাপক নির্মলেন্দু সাহা এবং গুয়াহাটির বেলতলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী প্রাঞ্জল শর্মাকে নগদ টাকা লেনদেনের সময় গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিবিআই-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম এবং ল্যাবরেটরি মেটেরিয়ালস সরবরাহের চুক্তি প্রদানের সাথে জড়িত দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল, অধ্যাপক নির্মলেন্দু সাহা একটি সরবরাহ সংস্থার মালিক প্রাঞ্জল শর্মার সঙ্গে যোগসাজশ করে ক্রয় প্রক্রিয়ায় কারচুপি করছেন।
সিবিআই একটি পরিকল্পিত ফাঁদ তৈরি করে অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ঘুষের টাকা লেনদেনের সময় এই দুজনকে ধরা হয়েছে। সিবিআই-এর দল একাধিক স্থানে তালাশি চালাচ্ছে। দুই স্থানে অভিযান চালিয়ে অপরাধের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। আরও দু-চারটি স্থানে তালাশি চলবে। সংগৃহীত প্রামাণিক তথ্যাদি দুর্নীতি নেটওয়ার্কের পরিধি প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবারই আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুই অভিযুক্তকে গুয়াহাটিতে নিৰ্দিষ্ট বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজিরা হয়েছে। সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, নেহু-তে পরিচালিত দুর্নীতির তদন্ত তীব্র গতিতে চলবে এবং দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যদের সম্পর্কে তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সূত্রটি বলেছে, নেহু-তে দু্র্নীতির এক বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে, তাকে ভাঙতে হবে। দুর্নীতি মামলার তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষাবিদ ও অন্যান্য অশিক্ষক কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে, জানিয়েছে সিবিআইয়ের সূত্রটি।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস
