বিরোধীদের আলোচনায় বাধা, এক জোড়া মুলতুবি প্রস্তাব পেশ বিজেপির
কলকাতা, ১২ জুন (হি.স.) : চতুর্থ দিনের সভায় বিরোধী দলের তরফে আনীত এক জোড়া মুলতুবি প্রস্তাবের নোটিশ যথাসময়ে জমা পড়েছে সচিবালয়ে। বৃহস্পতিবারের সভায় তা উত্থাপন ও পাঠ করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়। প্রথমত, মালদা ও মুর্শিদাবাদের জেলার সাম্প্রতিক হিং
বিরোধীদের আলোচনায় বাধা, এক জোড়া মুলতুবি প্রস্তাব পেশ বিজেপির


কলকাতা, ১২ জুন (হি.স.) : চতুর্থ দিনের সভায় বিরোধী দলের তরফে আনীত এক জোড়া মুলতুবি প্রস্তাবের নোটিশ যথাসময়ে জমা পড়েছে সচিবালয়ে। বৃহস্পতিবারের সভায় তা উত্থাপন ও পাঠ করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়। প্রথমত, মালদা ও মুর্শিদাবাদের জেলার সাম্প্রতিক হিংসা পরিস্থিতি এবং হিন্দুদের উপর হামলা। এই প্রস্তাবের সমর্থনে স্বাক্ষর করেছেন ৭ জন বিধায়ক - শুভেন্দু অধিকারী, ডঃ শঙ্কর ঘোষ, অসীম কীর্তনিয়া, অনুপ কুমার সাহা, দূর্গা মুর্মু, বিশাল লামা ও শ্রীরূপা মিত্র। এবং দ্বিতীয়ত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার রবীন্দ্রনগরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এর পরিপ্রেক্ষিতেই তুলসী মন্ডপ ভাঙচুরের ঘটনা নিয়েও আলোচনা চেয়ে জমা পড়ে মুলতুবি প্রস্তাব। ওই প্রস্তাবের সমর্থনে ৪ জন বিধায়ক স্বাক্ষর করেছেন - পুনা ভেংরা, অম্বিকা রায়, সুশীল বর্মণ ও নিখিল রঞ্জন দে। প্রথম মুলতুবি প্রস্তাবটি আদালতের বিচারাধীন বলে সভায় ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়। এর ফলে, তা নিয়ে আলোচনার প্রশ্ন ওঠে না। এরপর দ্বিতীয় প্রস্তাবটি পাঠের অনুমতি দেন অধ্যক্ষ। যদিও বিরোধী দল এ নিয়ে আলোচনা করেনি। বরং সরকারের বিরুদ্ধেই খড়্গহস্ত। মুহূর্তের মধ্যেই সভায় শোরগোল বাধে। হিন্দু বিরোধী সরকার - স্লোগান দিতে শুরু করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর নেতৃত্বে বিজেপির সমস্ত সদস্যরা। জয় শ্রী রাম - ধ্বনিতেও এদিনের সভা সরগরম হয়েছে। অধ্যক্ষ জানান, বিরোধী সভায় কাজ চালাতে দেওয়া হবে না এই সিদ্ধান্ত নিয়েই সভায় ঢোকে। পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। সেইজন্য ওই প্রস্তাবের সমর্থনে আলোচনা সভায় যোগদান করে নি বিজেপি। ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরিতে সচেষ্ট হয়ে ওঠে। এবং তা সভায় আধঘন্টারও বেশি সময় ধরেই চলেছে প্রতিবাদ আন্দোলন। এবং তা ক্রমশ জোরালো হয়েছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালের ব্যতিক্রমী ঘটনা। একটানা এত বেশি সময় ধরে বর্ষাকালীন অধিবেশনের তৃতীয় দিনের সভায় সরকার বিরোধী কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। গলায় ছিল তাদের গেরুয়া উত্তরীয়। এক বিশেষ সম্প্রদায়ের পতাকাও ছিল তাদের হাতে। বৃহস্পতিবারের সভায় ১২ টার পর শুরু হয়েছে তাদের বাদানুবাদ এবং পর মুহূর্তেই ওয়েলে নেমে যান বিজেপির সমস্ত সদস্যরা। ওয়েলের মধ্যেই অবস্থান কালীন সময়ে কাগজপত্র ছিঁড়েও উড়িয়ে দিয়েছেন তারা। তাদের হাতেও ছিল ওঁ- লেখা বিশেষ পতাকা । সভায় চরম বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হয়। বিঘ্ন ঘটেছে স্বাভাবিক কাজকর্মে, পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত




 

 rajesh pande