হাসপাতালের মর্গের বাইরে ভিড়-হাহাকার, পুলিশি ঘেরাটোপ অব্যাহত
আহমেদাবাদ, ১৩ জুন (হি.স.): শুক্রবারও আহমেদাবাদের হাসপাতালের মর্গের বাইরে ভিড়, হাহাকার আর পুলিশি ঘেরাটোপ। একদিকে আত্মীয়দের কান্না, অন্যদিকে নিথর দেহ। হাসপাতালের ভেতরে চলছে দেহ শনাক্তের প্রক্রিয়া, কিন্তু বেশিরভাগ দেহ এতটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে যে, চেহ
হাসপাতালের মর্গের বাইরে ভিড়-হাহাকার


আহমেদাবাদ, ১৩ জুন (হি.স.): শুক্রবারও আহমেদাবাদের হাসপাতালের মর্গের বাইরে ভিড়, হাহাকার আর পুলিশি ঘেরাটোপ। একদিকে আত্মীয়দের কান্না, অন্যদিকে নিথর দেহ। হাসপাতালের ভেতরে চলছে দেহ শনাক্তের প্রক্রিয়া, কিন্তু বেশিরভাগ দেহ এতটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে যে, চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই। একমাত্র ভরসা ডিএনএ টেস্ট।

৩৮ বছরের জুনেইদ মহম্মদ নানাভালা, তাঁর স্ত্রী আকিল এবং তিন বছরের কন্যা সানা, তিনজনই বৃহস্পতিবার ছিলেন আমদাবাদের ওই বিমানে। লন্ডন থেকে এ দেশে ফিরেছিলেন ইদের আনন্দ ভাগ করে নিতে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন, হাসি-আনন্দে ভরপুর মুহূর্ত বন্দি করেছিলেন ক্যামেরায়। কেউ জানত না, সেটাই তাঁদের জীবনের শেষ ইদ।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দেখা গিয়েছে, আমদাবাদের বিখ্যাত বি.জে. মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হওয়া ডিএনএ সংগ্রহ কেন্দ্রের এক কোণে বসে রয়েছেন জুনেইদের বাবা আবদুল্লাহ মহম্মদ। চোখে-মুখে যন্ত্রণার ছাপ স্পষ্ট। স্তব্ধ, নির্বাক। 'গত শুক্রবার এসেছিল ছেলেটা, ইদে সারপ্রাইজ দিতে,' বলেন তিনি। 'আমরা সবাই খুব খুশি হয়েছিলাম। একসঙ্গে ইদ কাটালাম, অনেক ছবি তুলল, হেসে খেলে গেল কয়েকটা দিন। কে জানত, এইভাবে চলে যাবে...!'

আবদুল্লাহর সঙ্গে এসেছেন সুরতের রামপুরা এলাকার আরও ২০-২৫ জন আত্মীয়। তাঁদের একটাই লক্ষ্য, জুনেইদের দেহ শনাক্ত করতে রক্ত দিয়ে ডিএনএ মিল করানো।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande