পাথারকান্দি (অসম), ১৪ জুন (হি.স.) : গত কিছুদিন ধরে পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম ও চা বাগান এলাকার গবাদি পশুর শরীরে লাম্পি নামক চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, বিভিন্ন বয়সের গরু হঠাৎ করে এই চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রথমে গরুর শরীর কিছুটা ফুলে যায়। পরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে গুটি বসন্তের মতো ফোস্কা। লাম্পিতে আক্রান্ত গরু খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে ঝিমুতে থাকে । অধিকাংশ গরু বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে বলে খবর।
আয়ের অন্যতম প্রধান উপকরণ গৃহপালিত গরুর এমন রোগে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অসহায় কৃষকরা। এলাকার প্রায় প্রতিটি এলাকায় এমন রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে ভুক্তভোগী কৃষকরা আক্রান্ত গরুর বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য স্থানে স্থানে সরকারিভাবে পশু চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করতে জেলাশাসক, সার্কল অফিসার, এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল এবং পশু চিকিৎসা বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে গবাদি পশুর এ ধরনের মড়ক সম্পর্কে লোয়াইপোয়া এলাকার ভেটেরিনারি চিকিৎসক তাজউদ্দিন খানকে প্রশ্ন করলে তিনি এই রোগের প্রার্দুভাবের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, এটা এক প্রকার ছোঁয়াচে চর্মরোগ। ভাইরাস জাতীয় এই রোগে গো-মহিষের শরীরে জ্বর, নাক ও মুখ দিয়ে লালা, চোখ দিয়ে জল পড়ে, শরীরে ফোস্কা থেকেও জল বের হয়। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের প্রথমে যথেষ্ট যত্নবান হতে হবে। গবাদি পশুদের বাড়ির বাইরে অন্য পশুদের সাথে মেলামেশা করতে দেওয়া যাবে না। খাবার-দাবারের বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। আগাম টিকাকরণ না করলে পরবর্তীতে রোগের লক্ষ্মণ ধরে পশু চিকিৎসকদের পরামর্শে ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।
হিন্দুস্থান সমাচার / মনোজিৎ দাস