কলকাতা, ১৭ জুন (হি.স.): “আমাদের মুরগি কাটা বা পাঁঠাবলির সঙ্গে কোরবানির কোন তফাৎ বেশ কিছু হিন্দু-নামধারী লোক খুঁজে পাচ্ছেন না দেখছি!” এই মন্তব্য করে প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় প্রশ্ন তুলেছেন, “কজন মুসলমানের সাহস হবে হালাল প্রথায় হত্যার বিরুদ্ধে বলার?”
তিনি সোমবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “কান খুলে শুনে রাখুন। ভারতের হিন্দু ও জৈন সম্প্রদায়ের কিছু অংশ বাদ দিলে পৃথিবীর সব দেশের, সব ধর্মের লোকই আমিষভোজী - অর্থাৎ তারা সবাই জীবন্ত জন্তুকে হত্যা করে খায়। তফাতের মধ্যে মুসলমান বাদে বাকিরা এই হত্যাটাকে একটা পৈশাচিক আড়াই প্যাঁচে কেটে রক্তক্ষরণ করতে করতে মৃত্যুর মত একটা প্রক্রিয়ায় পরিণত করে নি, তারা এটা লোকচক্ষুর অন্তরালে করে, পুরো শহর মৃত জন্তুর রক্তে থৈথৈ করায় না।
দুটোর মধ্যে কি প্রভেদ আছে? আমার মনে হয় বিশাল প্রভেদ আছে। বাকিদের কাছে পশুহত্যা একটা necessary evil। এদের কাছে এটা একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান, কে-এক ইব্রাহিম কি জানি করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি।
ধর্মীয় কারণে পশুবলি প্রথা বহু বাঙালি হিন্দুর অপছন্দ, যাঁদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথও আছেন।“রাজর্ষি তাঁর একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস, যা ত্রিপুরার রাজপরিবারের ইতিহাস এবং ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে মানবতার জয়কে কেন্দ্র করে রচিত। এই উপন্যাসে প্রধান চরিত্র হলো রাজা গোবিন্দমাণিক্য এবং তাঁর রাজ্যে ধর্মীয় কুসংস্কার ও বলিদান প্রথার বিরুদ্ধে রঘুপতির বিদ্রোহ।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত