পাণ্ডুর জাহাজঘাটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধিত অম্বুবাচি মহাযোগের
গুয়াহাটি, ২২ জুন (হি.স.) : প্রতি বছরের মতো এবারও অম্বুবাচি মহাযোগ উপলক্ষ্যে দেশ-বিদেশের লাখো ভক্ত এসে জমায়েত হয়েছেন নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত শক্তিপীঠ কামাখ্যা ধামে। আজ রবিবার বেলা ০২-টা ৫৬ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে মা কামাখ্যার প্রবৃত্তি হওয়ার পর এদিন সন্ধ্যায
পাণ্ডুর জাহাজঘাটে অম্বুবাচি মহাযোগের উদ্বোধন মঞ্চে মন্ত্রী রঞ্জিত দাস সহ বিশিষ্টজনেরা


গুয়াহাটি, ২২ জুন (হি.স.) : প্রতি বছরের মতো এবারও অম্বুবাচি মহাযোগ উপলক্ষ্যে দেশ-বিদেশের লাখো ভক্ত এসে জমায়েত হয়েছেন নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত শক্তিপীঠ কামাখ্যা ধামে। আজ রবিবার বেলা ০২-টা ৫৬ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে মা কামাখ্যার প্রবৃত্তি হওয়ার পর এদিন সন্ধ্যায় পাণ্ডুর জাহাজঘাটে ভক্তদের জন্য স্থাপিত অস্থায়ী শিবিরে প্রশাসন এবং কামাখ্যা মন্দির কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে অম্বুবাচি মহাযোগের উদ্বোধন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অসম সরকারের পর্যটনমন্ত্রী রঞ্জিতকুমার দাস অম্বুবাচি মহাযোগের আয়োজন সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেছেন। মন্ত্রী বলেন, গত বছর প্রায় সাত লক্ষ ভক্ত এখানে এসেছিলেন। এ বছর আরও বেশি সংখ্যক ভক্ত সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারের প্রায় ২৪টি বিভাগ অম্বুবাচি মহাযোগের সফল সমাপ্তি নিশ্চিত করতে দিনরাত কাজ করছে।

মন্ত্ৰী বলেন, এ বছর প্রথমবারের মতো একটি নতুন ভাবনা গ্রহণ করা হয়েছে। 'প্রণাম নাম' শীৰ্ষক এক কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে যার অধীনে রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড এবং কামাখ্যা মন্দির চত্বরে ভক্তদের হাত জোড় করে স্বাগত জানানোর পাশপাশি সম্মানিত করা হবে। তিনি বলেন, অম্বুবাচি মহাযোগ উপলক্যেৰ্ প্রতিটি ভক্তকে ভিআইপি হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সে অনুযায়ী তাঁদের সঙ্গে আচরণ করা হবে।

পর্যটনমন্ত্রী রঞ্জিতকুমার দাস বলেন, আগে এটি কেবল ‘অম্বুবাচি মেলা’ নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন এটি ‘অম্বুবাচি মহাযোগ’ নাম ধারণ করে সে অনুযায়ী আয়োজন করা হচ্ছে।

এই অনুষ্ঠানে গুয়াহাটির সাংসদ বিজুলি কলিতা মেধি, কামাখ্যা মন্দিরের প্রধান দলই কবীন্দ্রপ্রসাদ শর্মা, কনিষ্ঠ দলই হিমাদ্রি শর্মা, কামরূপ মেট্রোপলিটন কমিশনার সুমিত সাত্তায়ন, গুয়াহাটির মেয়র মৃগেণ শরণিয়া, গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার ড. পার্থসারথি মহন্ত, আইজিপি (লজিস্টিক) দীগন্ত বরা, বিভিন্ন সরকারি পদস্থ আধিকারিক সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অম্বুবাচি মহাযোগ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছেন আকাশবাণীর শিল্পী ভাস্বতী ভারতী। স্বাগত ভাষণের পর কামাখ্যা মন্দিরের প্রধান দলই কবীন্দ্রপ্রসাদ শর্মা অম্বুবাচি মহাযোগের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন এবং মন্দির খোলা ও বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে উপস্থিতদের অবহিত করেন। তিনি ভক্তদের শান্তিপূর্ণভাবে এবং সুশৃঙ্খলভাবে মন্দির পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করেছেন।

ছোট দলই হিমাদ্রি শর্মা বলেন, এটি ধ্যান এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনের সময়। অনেক সাধু-সন্ন্যাসী এই সময় আধ্যাত্মিক অনুশীলনের জন্য কামাখ্যা ধামে আসেন। তিনি এই মূল্যবান সময় নষ্ট না করে ভক্তদের ধ্যানে নিবেদিত করার আহ্বান জানান।

গুয়াহাটির সাংসদ বিজুলি কলিতা মেধি বলেছেন, আজকের আধুনিকতার ঝলকানিতে মা কামাখ্যার আধ্যাত্মিক শক্তির দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande