কলকাতা, ২৮ জুন (হি.স.): কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে লঘু উদ্যোগ ভারতীর তত্ত্বাবধানে আয়োজিত 'রাইজিং ইস্ট ২০২৫' উদ্যোক্তা সম্মেলনে ভারতের শিল্প ভবিষ্যৎ এবং ক্ষুদ্র শিল্পের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় রেল ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং কেন্দ্রীয় আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বিশেষভাবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল সম্মেলনে বলেন, আজকের যুগে 'শিল্প কারখানা ৪.০'-এর, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, থ্রিডি প্রিন্টিং, ইন্টারনেটের ভাবনার মতো প্রযুক্তি শিল্পের দিক নির্ধারণ করছে। তিনি আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রি ১.০ বাস্প চালিত ইঞ্জিন দিয়ে, ২.০ বিদ্যুতের আবিষ্কার মাধ্যমে, ৩.০ কম্পিউটার আবিষ্কার করে এবং ৪.০ বর্তমান প্রযুক্তিগত বিপ্লব দিয়ে শুরু হয়েছে। মেঘওয়াল বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে আয়কর আইন সরলীকৃত করা হচ্ছে এবং এখন থেকে উদ্যোক্তারা নিয়মিত রিফান্ডও পাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ভারতের ঐতিহাসিক শিল্প ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলেন। তিনি ভারতের ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক অবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, ১৭০০ সালের দিকে বিশ্ব জিডিপিতে ভারতের ২৯ শতাংশ অংশ ছিল। কিন্তু শিল্পে বড় পরিবর্তন না হওয়ার কারণে ভারত পিছিয়ে পড়ে। কংগ্রেস সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, একটা সময় ছিল যখন গাড়ির হাতল পরিবর্তন করার জন্যও যুগ্ম সচিবের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হত। ১৯৯০ সালে পিভি নরসিংহ রাও সরকার এবং পরে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার এর অবসান ঘটিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রেলের বাজেট ২৪ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। প্রতি বছর ভারতে ১,৪০০টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন এবং সাত হাজার নতুন কোচ তৈরি হচ্ছে। এর পেছনের কারণ হল ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে কেবল সরকার নয়, জনসাধারণের অংশগ্রহণও প্রয়োজন।
বিশেষভাবে সম্মানিত হলেন পদ্মশ্রী বিজয়ী সজ্জন ভজনকা
অনুষ্ঠান চলাকালীন সম্প্রতি পদ্মশ্রীতে ভূষিত সজ্জন ভজনকাকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। ভাষণে তিনি তাঁর কলেজের দিনগুলির কথা স্মরণ করে বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগে একটি ছোট প্রচেষ্টায় শুরু হওয়া কোম্পানিটি আজ 'সেঞ্চুরি প্লাই' দেশের একটি বড় শিল্পে পরিণত হয়েছে। তিনি ক্ষুদ্র শিল্পকে বড় শিল্প যাত্রার প্রথম ধাপ হিসেবে বর্ণনা করেন।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / পাপিয়া