এপিএসসি প্রিলিম ২০২৪-এর আগে কাছাড় জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারি
শিলচর (অসম), ৪ জুন (হি.স.) : অসম লোকসেবা আয়োগ (এপিএসসি)-এর আসন্ন কম্বাইন্ড কম্পিটিটিভ (প্রিলিমিনারি) এগজামিনেশন ২০২৪-কে কেন্দ্র করে কাছাড় জেলায় যাতে নিঃশব্দ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তার নিশ্চয়তা দিতে কড়া প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহ
এপিএসসি প্রিলিম ২০২৪-এর আগে কাছাড় জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারি


শিলচর (অসম), ৪ জুন (হি.স.) : অসম লোকসেবা আয়োগ (এপিএসসি)-এর আসন্ন কম্বাইন্ড কম্পিটিটিভ (প্রিলিমিনারি) এগজামিনেশন ২০২৪-কে কেন্দ্র করে কাছাড় জেলায় যাতে নিঃশব্দ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তার নিশ্চয়তা দিতে কড়া প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন কাছাড়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মৃদুল যাদব।

পরীক্ষা চলাকালীন সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা, বেআইনি কার্যকলাপ ও অসাধু উপায়ে পরীক্ষায় প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস), ২০২৩-এর ১৬৩ নম্বর ধারার অধীনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা ধারা জারি করেছেন।

এবারের এপিএসসি প্রিলিম পরীক্ষার জন্য কাছাড় জেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারিত হয়েছে। সেগুলি যথাক্ৰমে গুরুচরণ কলেজ, কাছাড় কলেজ এবং গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড এমপি স্কুল। তিন পরীক্ষা কেন্দ্রই শিলচর শহরে অবস্থিত।

মোট ১৭০০-এর বেশি পরীক্ষার্থী এই কেন্দ্রগুলিতে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জনসমাগম, যানবাহনের চলাচল ও বাহ্যিক হস্তক্ষেপে পরীক্ষার শৃঙ্খলা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনায় প্রশাসন আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে। তাই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনওরকম জনসমাগম, অননুমোদিত ব্যক্তির প্রবেশ এবং যানবাহনের গমনাগমন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, পুলিশ কর্মী ও জরুরি পরিষেবা যেমন অ্যাম্বুল্যান্স এবং দমকল বাহিনীর গাড়ি প্রবেশাধিকার পাবে।

পরীক্ষাকেন্দ্র চত্বরে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই সহ যে কোনও ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ এ জাতীয় ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন।

পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে লাউডস্পিকার, সাউন্ড সিস্টেম বা সংগীতচর্চা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনও খাবারের দোকান বা অস্থায়ী স্টল বসতে পারবে না। পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিচারে ও মানসিকভাবে স্বস্তির সঙ্গে পরীক্ষা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষা ও জনশৃঙ্খলার গুরুত্ব অনুধাবন করে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিএনএসএস-এর ১৬৩ ধারার অধীনে এই আদেশ জারি করেছেন। কেউ এই নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande