দুর্গাপুর, ৫ জুন (হি.স.): শিল্পশহর দুর্গাপুরে এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল। আক্রান্তের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁর উপর এই বর্বর অত্যাচার চালিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার নিউটাউনশিপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার অন্তর্গত পহেলগাম এলাকায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী পিন্টু তুরি ও তাঁর পরিবারের লোকজন পাড়ার মধ্যে গালিগালাজ করছিলেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন এক মহিলা বিজেপি কর্মী। অভিযোগ, এর জেরেই ওই মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধর করে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এরপর বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে অভিযুক্তদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঘর বন্ধ করে নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ।
পরিবারের দাবি, প্রতিবেশীদের তৎপরতায় টিনের চালা খুলে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আক্রান্তের দাদা বলেন, “আমার বোন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। তাই পরিকল্পনা করে বারবার তাঁর উপর হামলা চালানো হচ্ছে। এই ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।”
ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হন স্থানীয় বিজেপি নেত্রী ও বুথ সম্পাদিকা রিঙ্কু অঙ্কুর। তিনি বলেন, “একজন মহিলা বিজেপি কর্মীকে যেভাবে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে, তা সভ্য সমাজে অকল্পনীয়। রাজ্যের এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনকালে মহিলারাই আজ সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীন।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অভিযুক্ত পিন্টু তুরি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই মহিলাদের উপর অত্যাচার করে চলেছে। তৃণমূল কর্মী বলেই বারবার রেহাই পায়। অবিলম্বে তাকে ও তার ভাইকে গ্রেফতার করতে হবে, না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দুর্গাপুর ৩ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভীমসেন মণ্ডল বলেন, “বিজেপি কর্মীরাই আমাদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। তদন্ত চলেছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।” ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা