কলকাতা, ৫ জুন (হি.স.): বোলপুর থানার আইসি-কে কদর্য ভাষায় হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আর সেই হুমকি দেখানোয় পুলিশের চিঠি পেল একটি সুপরিচিত বাংলা সংবাদ চ্যানেল। ৬ দিনেও অনুব্রত অধরা। এ ব্যাপারে ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার’ অভিযোগ তোলায় আপত্তি পুলিশের।
পুলিশি গোঁসার এই খবর সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা ৪০-এ নেটনাগরিকদের মন্তব্য ও শেয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫১৩ ও ১৩৩।
অমল সেনগুপ্ত নামে একজন লিখেছেন, “এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার কোথায় পৌঁছাল জানান মানুষের কাছে। আদালতের মাধ্যমেও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত অবিলম্বেই।” সন্দীপ্তা দাস লিখেছেন, “পুলিশ এখানে কত অসহায় এটাই পুলিশ দফতর বুঝিয়ে দিলো।”
সুজিত মল্লিক লিখেছেন, “অসহায় পুলিশকে দেখে খুব খারাপ লাগছে। আমার সাথে এরকম হলে আমার সন্তান আমাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলত।” মুক্তিপ্রাদ দে লিখেছেন, “আমাদের দেশে পুলিশে সেই ব্রিটিশ জমানার নিয়ম। পুলিশ থাকে ব্যারাকে বা পুলিশ কলোনিতে। সাধারণ জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই পুলিশ জনগণের সুরক্ষার চাইতে হয়ে গেছে জনগণের ভীতির কারণ। সম্পর্ক কখনোই সহজ নয়। সৌমেন্দু শেখর রায় লিখেছেন, “গুরুমার নির্দেশ, চ্যালা কে বাঁচাতেই হবে!”
পারভেজ আলম লিখেছেন, “এখানে কিছু না, বোলপুরের আইসি লিটন হালদার বেচারা নিজের দোষে ফাঁসলো, ক্ষমতার ভরকেন্দ্র চিনতে ভুল করে দিয়েছিল। কাজল শেখকে বীরভূমের ভরকেন্দ্র ভেবে নিয়ে , অনুব্রতর কল রেকর্ড করে কাজল শেখকে দিয়েছিল, নিজের অনুগত্য পাবার জন্য। আর কাজল শেখ সেই ভিডিও ভাইরাল করেছে। অন ডিউটি পুলিশকে গালি দেওয়া যেমন অপরাধ করেছে অনুব্রত, তেমনই কল রেকর্ড করে ভাইরাল করাও ভারতীয় দণ্ডবিধিতে অপরাধ। এখানে আইসি লিটন হালদারও ফাঁসবে। তাই এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামবে উপর মহল। মানে আমাদের মাননীয়া পুলিশ মন্ত্রী।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত