শিলচর (অসম), ৭ জুন (হি.স.) : অসংখ্য মানুষের যন্ত্রণার মধ্যে দাঁড়িয়ে যখন প্রকৃতি যেন থাবা বসিয়েছে কাছাড়ের জনজীবনে, ঠিক তখনই প্রশাসনিক তৎপরতা ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলার বহু ত্রাণ শিবিরে মোতায়েন করা হয়েছে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স, প্যারা-মেডিক্যাল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দল, যাঁরা দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ বিতরণ ও স্বাস্থ্যসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে।
ত্রাণ কেন্দ্রগুলি যেন শুধুই চিকিৎসার স্থান নয়, বরং মা ও শিশুর নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দিয়ে ‘ব্রেস্টফিডিং কর্নার’ স্থাপন সহ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পুষ্টির পরামর্শেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই কর্মযজ্ঞে সক্রিয় রয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম অধিকৰ্তা ডা. শিবানন্দ রায়, জেলা দুর্যোগ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার নোডাল অফিসার ডা. রোহন বিশ্বাস, এনএইচএম-এর ডিপিএম রাহুল ঘোষ এবং তাঁদের টিম।
টিমে রয়েছেন সজল দেব, হাবুল বর্মন, পিনাকপাণি রায়, হেমাঙ্গ বরা, পিয়ালী চক্রবর্তী, পার্থ রায়, মৃগাঙ্ক পাল প্রমুখ৷
গত ১ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত মোট ৪৮৭টি শিবিরে ৭,২৬৯ জন মানুষ চিকিৎসা পেয়েছেন। আবাসিকদের দেওয়া হচ্ছে ওআরএস, প্যারাসিটামল, সংক্রমণ ও চর্মরোগের ওষুধ, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ওষুধ।
অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী কৌশিক রাই প্রত্যন্ত ত্রাণ কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে নিজে চিকিৎসা ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করছেন। জেলাশাসক মৃদুল যাদব স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক, মানুষের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রশ্নে কোনও আপস নয়। স্বাস্থ্য, খাদ্য, আশ্রয়, সব জায়গাতেই তাৎক্ষণিক সাড়া দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার।’
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস
