
গুয়াহাটি, ২৬ অক্টোবর (হি.স.) : গুয়াহাটি মহানগরের হাতিগাঁও থানাধীন লখিমিনগরের একটি বসতঘর থেকে জনৈক যুবতীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জনৈক রিয়া রাজবংশীর বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ। যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার পেছেনে মাদকদ্রব্য সেবন এবং ত্রিকোণ প্রেমের সন্দেহ করা হচ্ছে্।
আজ রবিবার পুলিশের আধিকারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, রিয়া রাজবংশী হাতিগাঁওয়ের লখিমিনগর এলাকায় ১২ নম্বরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে কম্বলে মোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি প্ৰথমে দেখেন তার রুমমেট বানজিতা রাভা। বানজিতা রাভা প্ৰায় এক সপ্তাহ পর ওইদিন রাতে বোকোয় (কামরূপ জেলান্তর্গত) তার গ্রামের বাড়ি থেকে ওই ঘরে ফিরে বিছানার ওপর কম্বলে মোড়া রুমমেট রিয়ার মৃতদেহ দেখেন। রিয়ার মৃতদেহ দেখে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেশী এবং পুলিশকে খবর দেন বানজিতা।
খবর পেয়ে যথাসময়ে পুলিশ গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে প্রাথমিক ইনকুয়েস্ট করার পর কম্বলে মোড়া রিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশের অফিসাররা ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণে মাদক, মাদকের কন্টেইনার এবং ১.৫ লক্ষ টাকার বেশি নগদ উদ্ধার করেছে। ফরেনসিক দল এবং সিআইডি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও পরীক্ষা করছে, জানিয়েছে পুলিশের সূত্রটি।ম্যাজিস্ট্রিয়াল তত্ত্বাবধানে গৌহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একটি পোস্টমর্টেম করা হয়েছিল।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ রোহন কাশ্যপ ওরফ নয়ন দাস নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। রোহন কাশ্যপ রিয়া রাজবংশীকে লখিমিনগরের এই বাসভবনে নিয়ে এসেছিলেন। তখন অবশ্য বানজিত রাভা ওই ঘরে আসেননি।
পুলিশ সূত্ৰের তথ্য, অভিযুক্ত রোহন কাশ্যপ বিবাহিত, তার সন্তানও আছে। প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে বানজিতা রাভার সাথে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিল। এদিকে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসার জবাবে রোহনের দাবি ‘আমি এবং রিয়া (মৃতা), ওইদিন রাতে একসঙ্গে মাদক সেবন করেছিলাম। ওভারডোজের দরুন তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমি তাকে মারিনি করিনি। লকডাউনের পর থেকে আমি মাদক সেবন করছি। কিন্তু মাদকের কারবারি বা পাচারকারী নই।’
তদন্তকারীরা ঘটনার সঙ্গে রোহনের সম্পৃক্ততা, ব্যক্তিগত ড্রাগ ব্যবহারের বাইরে সম্ভাব্য অন্যান্য কার্যকলাপ ইত্যাদির পরীক্ষা করছেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছেন, রিয়ার মৃত্যুটি কেবল অতিরিক্ত মাদক-মাত্রার ফলে হয়েছে নাকি অন্য কোনও কিছু।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস