
কলকাতা, ৩০ অক্টোবর, (হি.স.): “মুখ্যমন্ত্রী এসআইআর নিয়ে মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টির রাজনীতি করছেন। মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে এসআইআর-এর সঙ্গে এনআরসি-কে গুলিয়ে দিয়ে জনগণের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করছেন। এই বিভ্রান্তিই আত্মহত্যার কারণ হয়ে দাঁড়ালে তার সম্পূর্ণ দায় মুখ্যমন্ত্রীর।” বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের অভ্যাস হয়ে গেছে তড়িঘড়ি দাহপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, যেমনটা আর জি কর ঘটনার সময়ও হয়েছিল, যাতে সঠিক ময়নাতদন্ত না হয় এবং মৃত্যুর আসল কারণ আড়াল থাকে। তাই তিনি বলেন যে এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত একমাত্র সিবিআই-র মাধ্যমেই সম্ভব।”
তিনি বলেন, যে তৃণমূল কংগ্রেস ভুয়ো ভোটার তালিকা তৈরি করে সাংবাদিক বৈঠকে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং যেভাবেই হোক ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চাইছে। নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করেছে, কীভাবে সুষ্ঠু ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে।
রাহুলবাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল এখন লাশের রাজনীতি করছে—যেখানে তারা শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মৃতদেহের রাজনীতি করে। আমরা প্রত্যেকে মৃত্যুর প্রতি সহানুভূতিশীল, কিন্তু তৃণমূল সেটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানায়। তাই আমাদের এমন রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে, যাতে সমাজে এই বিকৃত সংস্কৃতি না ছড়ায়।”
তিনি বলেন, তৃণমূলের গুন্ডারা ধর্ষণ মামলার ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে যাতে তারা তাদের বয়ান পরিবর্তন করে। তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর নিয়ে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে এবং বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘোরাচ্ছে।
তিনি ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কলকাতা পুরসভার অকার্যকর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এই সরকার কেবল টাকার ভাষাই বোঝে এবং সবসময় দোষ কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে চাপায়। পুরসভার মেয়র দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ এবং সেই পদমর্যাদার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন ।
তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন বা সিএএ হল দেশের একটি বৈধ আইন। প্রতিবেশী দেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ ও খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলমান ও রোহিঙ্গারা যারা বেআইনি অনুপ্রবেশ করে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছে, তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারতের মুসলমানরা যারা যুগ যুগ ধরে এই দেশে বসবাস করছেন, তাদের অধিকার দেশের হিন্দুদের সমানই থাকবে।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে আর জি কর ঘটনার সময় পুরো বিশ্ব তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিল। ভারতীয় জনতা পার্টি একটি সর্বভারতীয় দল — যা সকল সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত