
হাফলং (অসম), ২৭ অক্টোবর (হি.স.) : উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা এবং রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী নন্দিতা গার্লোসা ‘নিযুত মইনা প্রকল্প’-এর দ্বিতীয় সংস্করণের অধীনে হাফলঙে ছাত্রীদের মধ্যে চেক বিতরণ করেছেন। ডিমা হাসাও জেলায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ২,৭৪৭ জন ছাত্রীকে এই অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
আজ সোমবার এই চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্ৰদত্ত ভাষণে দেবোলাল গার্লোসা বলেন, এই প্রকল্পটি আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া এবং তাদের পরবর্তীতে পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া ছাত্রী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ‘নিযুত মইনা প্রকল্প’ কেবল শুধু একটি প্রকল্প নয়, অসমের মেয়েদের কাছে এটি একটি প্রতিশ্রুতি যে আর্থিক সমস্যার কারণে কোনও মেয়েকে তার পড়াশোনা বন্ধ করতে হবে না এবং সামাজিক বাধার কারণে তাদের স্বপ্ন ভেঙে না যায়।
দেবোলাল আরও বলেন, উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের পক্ষ থেকে এই জেলার শিক্ষার্থীদের জীবনের এ ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি উপলব্ধি করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের যথাক্রমে ২০ হাজার, ১৫ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ইউপিএসসি এবং এপিএসসি প্রার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য সুপার ৩০ কোচিং প্রোগ্রাম বিনামূল্যে উপলব্ধ করা হয়েছে যা অনেক প্রার্থীকে সিভিল সার্ভিস, অ্যালাইড সার্ভিস এবং মেডিক্যালের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তাঁদের চাকরি পাওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করছে।
ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী নন্দিতা গার্লোসা তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছাত্রীদের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়ার জন্য যথাক্রমে ১,০০০ টাকা, ১,২৫০ টাকা এবং ২,৫০০ টাকা করে আগামী দশ মাস এই আর্থিক অনুদান প্রদান করা হবে।
তিনি মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মেয়েদের জন্য এই চমৎকার প্রকল্পটি কেবল তাঁদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগই করে দেবে না, বরং মর্যাদার সাথে তাঁদের জীবন সফলভাবে কাটানোর স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দেবে।
এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিমা হাসাওয়ের জেলা কমিশনার মুনীন্দ্রনাথ নাগাতে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে অবহিত করে বলেন, আজকাল শিক্ষার্থীরা অনেক ভাগ্যবান যে সরকার শিক্ষার্থীদের সার্বিক যত্ন নিতে সম্পূর্ণভাবে সচেষ্ট রয়েছে। তিনি বলেন, তাই শিক্ষার্থীদের কর্তব্য হলো পূর্ণ আন্তরিকতার সঙ্গে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা, যাতে তারা ভবিষ্যতে তাদের জীবনে সফল হতে পারে।
আজ অন্যান্য জেলার সঙ্গে এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠিত হয় যেখানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ডা. রণোজ পেগু প্রমুখ ‘নিযুত মইনা প্রকল্প’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ চালু করেছেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব