
গুয়াহাটি, ২৭ অক্টোবর (হি.স.) : গুয়াহাটি মহানগরের দিশপুর থানার পুলিশ অত্যন্ত ক্ষিপ্ৰতার সঙ্গে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের কবজা থেকে উদ্ধার করেছে অপহৃত জনৈক যুবককে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে অতি সক্ৰিয় বেসরকারি সংগঠন ‘বীর লাচিত সেনা’-র আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দিশপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার রাত প্রায় ৯:৩০টার দিকে গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা জনৈক এরশাদ খান পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানান, তাঁর বন্ধু রাহুল মিশ্রকে অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১৫ জন যুবক বলপূর্বক তুলে নিয়ে গেছে। অপহরণকারীরা রাহুল মিশ্রের মুক্তিপণ বাবদ ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেছে, পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন এরশাদ।
এই খবর পেয়ে কালবিলম্ব না করে দিশপুর থানা থেকে পুলিশের একটি দল একটি অনুসন্ধান অভিযানে নেমে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ সন্দেহভাজনদের ত্রিবেণী পথে ট্র্যাক করতে সক্ষম হয়। সে অনুযায়ী বড়বাড়ি এলাকায় প্রতীক্ষা হাসপাতালের কাছে হানা দিয়ে অপহরণে ব্যবহৃত এএস ০১ ইএম ০৭১৮ এবং এএস ২৩ কিউ ৩৫৬৬ নম্বরের দুটি গাড়িকে আটক করে সেগুলিতে তালাশি চালিয়ে অপহৃত রাহুল মিশ্রকে উদ্ধার করেন পুলিশের অভিযানকারীরা।
পুলিশ ঘটনাস্থলেই ছয়জনকে আটক করে। পরবর্তীতে রাতেই আরও দুজনকে আটক করে দিশপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। থানায় জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আটজনকে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্ৰেফতারকৃতদের নাম বিশ্বজিৎ দলে, ইনজামুল হক, রোহান আলি, মোহন বরা, নিতু আহমেদ, চিন্ময় দেব, রিয়াজ আহমেদ এবং বিরাজ বল্লভ কলিতা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে এবং বীর লাচিত সেনার সাথে কথিত যোগসূত্র পরীক্ষার জন্য জোরগতিতে তদন্ত চলছে।
গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে পুলিশ দুটি বেসবল ব্যাট, একটি হকি স্টিক, একটি ডাবল-এজড ছুরি, দুটি গোলমরিচ স্প্রে বোতল, ছয়টি মোবাইল ফোনের হ্যান্ড সেট প্রভৃতি। এছাড়া একটি অজ্ঞাত কৃত্রিম বস্তু (তদন্তাধীন), অসমের ‘বীর লচিত সেনা’র ‘বিকাশ আসম’ স্বাক্ষরিত পাঁচটি ‘আর্থিক সহায়তা’ আবেদনপত্র, অর্থ সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত কথিত সংগঠনের একটি রসিদ বই, বীর লচিত সেনার বিরাজ বল্লভ কলিতার দুটি পরিচয়পত্র, বীর লচিত সেনার একটি সাংগঠনিক লোগো।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস