হাওড়ার পুর-চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দিয়ে শুরু, পূর্ণ তালিকা জানতে কৌতূহল নানা জেলায়
কলকাতা, ২৭ অক্টোবর (হি.স.): রবিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। এর আগে ওই পদ থেকে আচমকাই ইস্তফা দেন তিনি। পরে বলেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি ইস্তফা দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপা
হাওড়ার পুর-চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দিয়ে শুরু, পূর্ণ তালিকা জানতে কৌতূহল নানা জেলায়


কলকাতা, ২৭ অক্টোবর (হি.স.): রবিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। এর আগে ওই পদ থেকে আচমকাই ইস্তফা দেন তিনি। পরে বলেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি ইস্তফা দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও আস্থা অটুট রয়েছে।

শিশু চিকিৎসক হিসাবে সুজয়বাবুর যথেষ্ট নামডাক রয়েছে। হাওড়ায় ভাল মানুষ বলে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগও নেই। তবে আপাত ভাবে যেটা সাদামাটা ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা বলে মনে হচ্ছে, ব্যাপারটা ততটাও সরল নয়। বরং সূত্রের দাবি, সুজয়বাবুকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে।

তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা, প্রশাসনিক রিপোর্ট ও পেশাদার সংস্থা আই-প্যাকের রিপোর্টের মতে, বিভিন্ন পুরসভার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোথাও অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কোথাও বা অদক্ষতার কারণে স্থানীয় স্তরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যত না অসন্তোষ তার চেয়ে বেশি অসন্তোষ তার চেয়ে বেশি অসন্তোষ এই সব স্থানীয় নেতাদের উপর।

তাই বিধানসভা ভোটের আগে এদের সরিয়ে দিলে স্থানীয় স্তরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা মোকাবিলা করা যাবে। নিচু তলায় এই ধরনের ঝাঁকুনি দিতে পারলে সাধারণ মানুষ ও দলের কর্মীদের কাছে একটা ইতিবাচক বার্তা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে কমবেশি ৭৪টি পুরসভায় বিজেপির তুলনায় পিছিয়ে ছিল শাসক দল। এর বেশিরভাগ পুরসভাতেই চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা দুজনকেই সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

পুরসভার চেয়ারম্যান বদল আর তৃণমূলের জেলা সভাপতি বদল এক নয়। জেলা স্তরে সংগঠনে বদল করা হলে দলের তরফে এক লপ্তে একটা তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনও তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কারণ, পুরসভাগুলিতে বোর্ডের বৈঠক ডেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। সেই নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে কোনও রাজনৈতিক দল এভাবে তালিকা প্রকাশ করে সরাতে পারে না। এর পর বিভিন্ন পুরসভার কর্তাদের কার, কী হল, পূর্ণ তালিকা জানতে কৌতূহল তৈরি হয়েছে নানা জেলায়।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande