ছট পূজায় ভক্তিমুখর চুড়াইবাড়ি, স্থায়ী ঘাট নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের
চুড়াইবাড়ি (ত্রিপুরা), ২৭ অক্টোবর (হি.স.) : দেশজুড়ে পবিত্র ছট পূজা উদযাপিত হওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ত্রিপুরার উত্তর জেলাতেও পালন করা হলো এই ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব। বিশেষত হিন্দিভাষী ও চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান এই উৎসবকে ঘিরে সোমবার চুরাইব
ছট পূজা


চুড়াইবাড়ি (ত্রিপুরা), ২৭ অক্টোবর (হি.স.) : দেশজুড়ে পবিত্র ছট পূজা উদযাপিত হওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ত্রিপুরার উত্তর জেলাতেও পালন করা হলো এই ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব। বিশেষত হিন্দিভাষী ও চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান এই উৎসবকে ঘিরে সোমবার চুরাইবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয় উৎসবের আমেজ।

সোমবার বিকেল থেকেই পূর্ব চুড়াইবাড়ি এলাকার কৃষি দফতরের অস্থায়ী ঘাটে শত শত নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে সূর্যদেবের আরাধনা করেন। সূর্যাস্তের আগে অর্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় প্রথম দিনের ছট পূজা। ঘাট সংলগ্ন এলাকায় মেলার পরিবেশ তৈরি হয়।

রীতি অনুযায়ী, ভক্তরা চার দিন আগে থেকেই নির্জলা উপবাস ও কঠোর ব্রত পালনের মধ্য দিয়ে এই পূজার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। সোমাবর সূর্যদেব ও ছট মাকে অর্ঘ্য, ফল-ফসারি ও ভোগ প্রদান করা হয়। একইভাবে চুড়াইবাড়ি রেল গুদাম সংলগ্ন বিহারী বস্তিতেও ছট পূজার আয়োজন হয়।

আগামীকাল সূর্যোদয়ের সময় পুনরায় অর্ঘ্য প্রদান ও আরাধনার মাধ্যমে শেষ হবে চার দিনের পূজার আনুষ্ঠানিকতা। স্থানীয়দের দাবি, ১৯৮০ সাল থেকে এলাকায় এই পূজা পালিত হলেও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে একটি স্থায়ী পাকা ঘাট নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়নি। তাঁরা চান, আগামী দিনে ত্রিপুরা সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নিক।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে সূর্যদেবের ভগ্নী ও দেবী পার্বতীর ষষ্ঠ রূপই ছট দেবী। নিষ্ঠা ও একাগ্র মনে তাঁর উপাসনা করলে ভক্তের সমস্ত মনোবাসনা পূর্ণ হয় — এমনটাই বিশ্বাস করেন ভক্তরা। শুধু হিন্দিভাষী নন, এলাকার বহু বাঙালি পরিবারও সমান ভক্তিভরে এই ব্রত পালন করেন।

স্থানীয়দের আশা, সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক এই উৎসব আগামী দিনে আরও বৃহৎ আকারে পালিত হবে এবং পূজার জন্য একটি স্থায়ী ঘাট নির্মিত হবে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande