
ঝাড়গ্রাম, ২৮ অক্টোবর (হি.স.) : ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’-এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ঝাড়গ্রাম জেলায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ মেঘলা, বইছে হালকা হাওয়া, মাঝে মাঝে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টিও হচ্ছে। এই অনিশ্চিত আবহাওয়ায় উদ্বিগ্ন জেলার কৃষকরা।
কৃষকদের আশঙ্কা, ‘মন্থা’-এর জেরে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টির কারণে ধানের ফলন ভালো হয়েছে, ইতিমধ্যেই অনেক কৃষক ধান কাটা শুরু করেছেন। কিন্তু হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল, নায়াগ্রাম ও গোপীবল্লভপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিঘের পর বিঘে জমিতে ধান চাষ হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক মাসের শ্রম, সার, সেচ ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের পর যখন ধান ঘরে তোলার সময় এসেছে, তখনই প্রকৃতির এই বিপর্যয় নতুন দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।
জেলা কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে চাষিদের সতর্ক করা হয়েছে। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব পাকা ধান কেটে ফেলার ও নীচু জমিতে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখার। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে , আগামী কয়েকদিনে ‘ ‘মন্থা’-এর প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বাতাসের গতি আরও বাড়তে পারে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো