গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের নানা ঘাটে সূর্য উপাসনায় ভক্তের ঢল
উজান থেকে নিম্ন, গোটা অসমে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় সম্পন্ন ছট পূজা গুয়াহাটি, ২৮ অক্টোবর (হি.স.) : ছট পূজা মূলত সূর্য আরাধনার উৎসব। হিন্দু দেবতাদের মধ্যে সূর্য একমাত্র দেবতা যিনি দৃশ্যমান। সূর্য সমস্ত শক্তির আধার। পৌরাণিক মতে সূর্যের দুই স্ত্রী, ঊষা ও প্
পাণ্ডুঘাটে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ছটপূজার দৃশ্য


উজান থেকে নিম্ন, গোটা অসমে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় সম্পন্ন ছট পূজা

গুয়াহাটি, ২৮ অক্টোবর (হি.স.) : ছট পূজা মূলত সূর্য আরাধনার উৎসব। হিন্দু দেবতাদের মধ্যে সূর্য একমাত্র দেবতা যিনি দৃশ্যমান। সূর্য সমস্ত শক্তির আধার। পৌরাণিক মতে সূর্যের দুই স্ত্রী, ঊষা ও প্রত্যুষা। ছট পূজায় সূর্যের সাথে এই দুই শক্তির আরাধনা করা হয়ে থাকে। সায়াহ্নে সূর্যের শেষ কিরণ প্রত্যুষা এবং প্রাতঃকালে সূর্যের প্রথম কিরণকে অর্ঘ্য প্রদান করা হয়। ছট পূজায় পারিবারিক সুখ-সমৃদ্ধি, মনোবাঞ্ছা পূর্ণ, পুত্র প্রাপ্তি ও ধনসম্পত্তির জন্য ব্রত পালন করা হয়ে থাকে। মূলত হিন্দিভাষীরা এই উৎসব পালন করলেও সাম্প্রতিককালে অহিন্দিভাষী যেমন বাঙালি, অসমিয়া, নেপালিদের মধ্যে অনেকেই এই উৎসব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে থাকেন। তাই হিন্দিভাষীদের উৎসবের সমস্ত ব্যারিকেড ভেঙে এখন ছট উৎসব সর্বজনীন উৎসবের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, মনে করেন অনেকে।

প্রতি বছরই গুয়াহাটি মহানগরের বিভিন্ন ঘাট যেমন কালিপুর, বশিষ্ঠ, বেলতলা, পাণ্ডু, চুনশালি, শুক্লেশ্বর, কাছমারি ইত্যাদি ঘাটে সূর্য উপাসনার জন্য ভক্তদের ভিড় হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গতকাল এবং আজ ছট পুজো উপলক্ষ্যে মহানগরের প্রতিটি ঘাটে ছিল ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন ঘাটের মধ্যে পাণ্ডু ঘাটকে অন্যতম ঘাট বলে মনে করা হয়। আজ মঙ্গলবার প্রত্যুষে এই ঘাটে সূর্যভক্তদের ভিড় জমে। গতকাল থেকেই মহানগরের সমস্ত ঘাটগুলিকে সুন্দর করে রঙিন কাগজ, ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দুপুরের পর থেকে পূজার উপকরণ নিয়ে ধীরে ধীরে ঘাটে পৌঁছতে শুরু করেন ব্রতধারীরা। তাঁদের পূজা দেখতে জমায়েত হন অসংখ্য মানুষ।

বিভিন্ন সমিতি ও ছট পূজার আয়োজন করেছে। সোমবার সন্ধ্যার পর পর্যন্ত ঘাটে ভক্তের ভিড় দেখা গেছে। আজ সোমবার সকালে সূর্য উঠার আগে থেকেই শুরু হয় ভক্তদের আগমন। এই উৎসব উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী ছাড়াও এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, জল পুলিশ, সাধারণ পুলিশ ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করেছিল। ঘাটে ঘাটে ব্যারিকেড এবং অস্থায়ী স্নানাগার বানানো হয়েছে। সাথে স্বচ্ছতার ওপর বিশেষ নজর রেখেছে প্রশাসন।

আস্থার এই পবিত্র উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলো মাটির পাত্র, আখের গুড়, বাঁশের তৈরি ডালা, আখ, গমের প্রসাদ। চারদিনের এই উৎসবের মধ্যে শেষের দু-দিনের বিশেষত্ব রয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে ছট পূজার লোকসংগীত। বিভিন্ন সমিতির উদ্যোগে পূজা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande