
আগরতলা, ২৮ অক্টোবর (হি.স.) : ত্রিপুরার উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামোয় যুক্ত হল নতুন অধ্যায়। মঙ্গলবার রাজধানী আগরতলায় লিচু বাগানে অবস্থিত গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফটে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহার হাত ধরে রাজ্যের ১১টি সরকারি ডিগ্রি কলেজে ওয়াইফাই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। একই সঙ্গে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য “মুখ্যমন্ত্রীর যুব যোগাযোগ যোজনা”-র সূচনা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কিশোর বর্মণ, শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন আধিকারিক এবং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উদ্বোধনী ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান যুগ প্রযুক্তিনির্ভর। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) থেকে শুরু করে আধুনিক গবেষণা— সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে এর অপব্যবহার যেন না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।” তিনি আরও বলেন, কৃষি ও চিকিৎসা ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটালে সাধারণ মানুষের কাছে সর্বোৎকৃষ্ট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ইন্টারনেট সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে অতিরিক্ত টাওয়ার স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, “২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে রাজ্যের ২০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে স্মার্টফোনের জন্য জন প্রতি ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এর জন্য ১০ কোটি টাকার বাজেট নির্ধারিত হয়েছে।”
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কিশোর বর্মণ বলেন, “আজ রাজ্যের উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১১টি সরকারি কলেজে ওয়াইফাই চালু হওয়া শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চারও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”
অনুষ্ঠান চলাকালীন এনজিআইএন প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা প্রযুক্তিনির্ভর প্রদর্শনী স্টল পরিচালনা করে, যা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিরা।
তবে স্থানীয় মহলের অভিমত, রাজ্যের কিছু এলাকায় নেটওয়ার্ক টাওয়ারের অভাব থাকায় এই ওয়াইফাই পরিষেবা কতটা কার্যকরভাবে শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ