অমানবিক অন্তিমযাত্রা! অনাচ্ছাদিত বৈদ্যবাটির শ্মশানে বৃষ্টিতে ভিজলো একাধিক মৃতদেহ, ক্ষোভ প্রয়াতদের পরিজনদের
হুগলি, ২৯ অক্টোবর (হি.স.): বুধবার হুগলির বৈদ্যবাটির একটি শ্মশানের অমানবিক ছবি হতবাক করে দিয়েছে গোটা জেলার বাসিন্দাদের। প্রিয়জনদের হারিয়ে কান্না আর প্রবল বৃষ্টির শব্দ ছাপিয়ে এদিন যেন ফুটে উঠছিল এক অসম্ভব অসহায়ত্বর ছবি। মন্থার প্রভাবে বুধবার সকাল
অমানবিক অন্তিমযাত্রা! অনাচ্ছাদিত বৈদ্যবাটির শ্মশানে বৃষ্টিতে ভিজলো একাধিক মৃতদেহ, ক্ষোভ প্রয়াতদের পরিজনদের


হুগলি, ২৯ অক্টোবর (হি.স.): বুধবার হুগলির বৈদ্যবাটির একটি শ্মশানের অমানবিক ছবি হতবাক করে দিয়েছে গোটা জেলার বাসিন্দাদের। প্রিয়জনদের হারিয়ে কান্না আর প্রবল বৃষ্টির শব্দ ছাপিয়ে এদিন যেন ফুটে উঠছিল এক অসম্ভব অসহায়ত্বর ছবি।

মন্থার প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির মধ্যেও বৈদ্যবাটি পৌরসভার হাতিশালা শ্মশানে অনাচ্ছাদিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অন্তত অর্ধ ডজন মৃতদেহ। মৃতদেহগুলির সঙ্গে তাঁদের পরিজনরাও ভিজছেন বৃষ্টিতে। কেউ কেউ আবার তাঁদের যে প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, সেই মৃতদেহের উপর ছাতা ধরে চেষ্টা করছিলেন বৃষ্টি থেকে মৃতদেহ রক্ষা করতে। কিন্তু বৃষ্টি বাধ না মানায় এক অসম্ভব অসহায়ত্ব গ্রাস করেছিল শ্মশানযাত্রীদের। সঙ্গে চোখেমুখে ফুটে উঠছিল স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ।

জানা গেছে, ওই শ্মশানে কোনও আচ্ছাদন না থাকায় দাহকাজের আগে মৃতদেহগুলি খোলা জায়গায় রাখতে হয়। কিন্তু বুধবার প্রবল বৃষ্টিতে শ্মশানযাত্রীদের সঙ্গে মৃতদেহগুলিও ভিজতে থাকে। এই ঘটনা কানে যেতেই শ্রীরামপুরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক হরি মিশ্র ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তড়িঘড়ি বৃষ্টি থেকে মৃতদেহ ঢাকতে নিজের উদ্যোগে ত্রিপলের ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, এটা কেমন সরকার, যারা উন্নয়নের কথা বলে, কিন্তু শ্মশানে অমানিকতার দৃষ্টান্ত! প্রশ্ন তোলেন, হাতিশালা শ্মশানের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ কোথায় গেল?

হরি মিশ্র এও বলেন, এটা হিন্দুদের প্রতি অবিচার। অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গ এলে প্রশাসন থেকে শুরু করে সাংসদ ও বিধায়ক সবাই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু আজ এখানে এই মৃতদেহগুলি ভিজছে দেখেও কেউ হিন্দুদের কষ্টের কথা শুনছে না। তিনি বৈদ্যবাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতোর পদত্যাগ দাবি করেন।

পৌরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, হাতিশালায় একটি নতুন করে শ্মশান তৈরি হচ্ছে। আগে সেখানে একটি আচ্ছাদন ছিল, কিন্তু নতুন নির্মাণের জন্য তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। খুব শীঘ্রই, মৃতদেহ রাখার জন্য একটি অস্থায়ী আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করা হবে। নতুন শ্মশান তৈরি হলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

সব কিছু ছাপিয়ে মৃতের পরিজনরা প্রশ্ন তুলেছেন, অন্তিমযাত্রাতেও কি স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে এতটুকু মানবিকতা প্রাপ্য নয় প্রয়াতদের ও তাঁদের পরিজনদের!

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande