ঝাড়গ্রামে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ২১৩ কোটি, পাঁচ হাজার টাকার বেশি বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে বিদ্যুৎ দফতর
ঝাড়গ্রাম, ২৯ অক্টোবর (হি.স.) : বকেয়া বিদ্যুৎ বিল না মেটালে এবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। ঝাড়গ্রাম জেলায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ বর্তমানে ২১৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ফলে যেসব গ্রাহকের বিল পাঁচ হাজার টাকার বেশি বকেয়া, তাঁদের সংযোগ
ঝাড়গ্রামে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ২১৩ কোটি, পাঁচ হাজার টাকার বেশি বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে বিদ্যুৎ দফতর


ঝাড়গ্রাম, ২৯ অক্টোবর (হি.স.) : বকেয়া বিদ্যুৎ বিল না মেটালে এবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। ঝাড়গ্রাম জেলায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ বর্তমানে ২১৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ফলে যেসব গ্রাহকের বিল পাঁচ হাজার টাকার বেশি বকেয়া, তাঁদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ঝাড়গ্রাম ডিভিশনের আটটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র—ঝাড়গ্রাম, মানিকপাড়া, জামবনি, গোপীবল্লভপুর, বিনপুর, বেলপাহাড়ি, নয়াগ্রাম ও সাঁকরাইল—মিলিয়ে জেলায় মোট ২ লক্ষ ৮০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ২ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া বলে জানা গেছে।

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে খবর, মাওবাদী অশান্তি চলাকালীন ২০০৮ সালের নভেম্বর থেকে বহু গ্রামে মিটারের রিডিং নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় বিল পাঠানো শুরু হয়। ওই সময়ের মধ্যে প্রায় ২১ কোটি টাকার বকেয়া জমে যায়, যা পরে সংস্থার তরফে ‘লক’ করা হয়। তবুও ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে নিয়মিত বিল মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয় গ্রাহকদের।

প্রথম দিকে শিবিরের মাধ্যমে কিছু বকেয়া টাকা আদায় হলেও পরে অনেকেই বিল দিতে অনীহা দেখান। এর ফলে বর্তমানে বকেয়ার পরিমাণ ২১৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের এক আধিকারিক জানান, “মাওবাদী সময় থেকেই অনেক গ্রাহক বিল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।”

রিজিওনাল ম্যানেজার প্রদীপ সামন্ত বলেন, “বাণিজ্যিক ও ছোট শিল্প গ্রাহকদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে যাঁদের গৃহস্থালি বিল পাঁচ হাজার টাকার বেশি বকেয়া, তাঁদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা শুরু হয়েছে।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো




 

 rajesh pande