শ্রীভূমির ৪০টি স্কুলে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মকড্রিল
শ্রীভূমি (অসম), ২৯ অক্টোবর (হি.স.) : অসম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এবং শ্রীভূমি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সমগ্র রাজ্যের সঙ্গে শ্রীভূমি জেলারও ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ বুধবার ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর
শ্রীভূমির ৪০টি স্কুলে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মকড্রিল


শ্রীভূমি (অসম), ২৯ অক্টোবর (হি.স.) : অসম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এবং শ্রীভূমি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সমগ্র রাজ্যের সঙ্গে শ্রীভূমি জেলারও ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ বুধবার ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মহড়া (মকড্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিন শ্রীভূমি জেলার সব কয়টি রাজস্ব চক্রের ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘গ্রেট আসাম স্কুল শেক-আউট মকড্রিল’ কার্যক্রমের অধীনে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ভূমিকম্পে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং উদ্ধারে ‘ড্রপ কভার হোল্ড’ পদ্ধতি। পাশাপাশি, অগ্নিকাণ্ডের মতো পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাৰ্যে ‘স্টপ ড্রপ রোল’ পদ্ধতি সম্পর্কে মহড়ার মাধ্যমে সচেতনতা গড়ে তোলা।

এতে স্কুল ফোকাল পয়েন্ট টিচার ও আপদা মিত্র স্বেচ্ছাসেবকরা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পদ্ধতিগুলি প্রদর্শন করে সচেতন করেছেন। এদিন জেলার সব কয়টি রাজস্ব চক্রের অন্তর্গত স্কুলগুলিতে ফোকাল পয়েন্ট টিচার, আপদা মিত্র স্বেচ্ছাসেবক, অগ্নি ও জরুরিকালীন পরিষেবা এবং এসডিআরএফ কর্মকর্তারা এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করে দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে নিজে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখা ও উদ্ধারকার্যে সহযোগিতা করার কৌশল ও পদ্ধতি ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে দিয়ে সচেতন করেন।

উল্লেখ্য, জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এবং সমন্বয় গড়ে তুলতে এ ধরনের মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শ্রীভূমি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম অফিসার সিজু দাস জানান, আজ বুধবার শ্রীভূমি জেলান্তর্গত শ্রীভূমি সদর সার্কলের ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, নিলামবাজারের ছয়টি, পাথারকান্দির চারটি, বদরপুরের পাঁচটি এবং রামকৃষ্ণনগর রাজস্ব চক্রের পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিনের মহড়া কার্যসূচিতে অসম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কারিগরি পরামর্শদাতা রাজেশ দত্ত বিভিন্ন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করেছেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / মনোজিৎ দাস




 

 rajesh pande