
কলকাতা, ২৯ অক্টোবর (হি.স.): কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার বুধবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘জিএসটি ২.০ সংস্কার’ বিষয়ক আলাপচারিতা-ভিত্তিক অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন। এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)।
পিআইবি-র তরফে জানানো হয়েছে, এই অধিবেশনটি যৌথভাবে আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব কর্পোরেট অ্যাডভাইজারস অ্যান্ড এক্সিকিউটিভস, বিবিডি বাগ প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন, সেন্ট্রাল কলকাতা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অ্যাসোসিয়েশন, ডিরেক্ট ট্যাক্সেস প্রফেশনালস অ্যাসোসিয়েশন, ভিউজ এক্সচেঞ্জ, এবং ভিআইপি রোড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অ্যাসোসিয়েশন। সভায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আইনজীবী ও শিল্পক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মূল বক্তব্যে, ড. মজুমদার উল্লেখ করেন যে, জিএসটি ২.০ সংস্কার কেন্দ্রের মানবকেন্দ্রিক নীতির প্রতিফলন, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, “২.০ সংস্কারের পর জিএসটি আর শুধু গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নয়, এটি সত্যিকারের অর্থে একটি ‘গ্রোথ বা বৃদ্ধি সহায়ক করকাঠামো’ হয়ে উঠেছে।”
ড. মজুমদার জানান, জিএসটি ২.০ সংস্কারের সূচনা হয় বাংলার জন্য এক শুভ সময়ে, যেটি সমৃদ্ধির প্রতীক। তিনি বলেন, “এটি এক অত্যন্ত শুভ দিনে উদ্বোধন করা হয়, এই বাংলার উৎসব মরশুমের সূচনায়। জিএসটি ২.০ সংস্কার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দীপাবলির উপহার দেশের সাধারণ মানুষের জন্য।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্র ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধে জিএসটি হার হ্রাসের সিদ্ধান্ত সরকারের জনমুখী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। “এই সংস্কারগুলি সরাসরি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে এবং সমগ্র দেশ আজ প্রধানমন্ত্রীকে এর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছে,” ড. মজুমদার বলেন।
অধিবেশনে উপস্থিত পেশাজীবীরা জিএসটি ২.০ সংস্কার নিয়ে তাঁদের নানা প্রশ্ন ও মতামত উত্থাপন করেন। ড. মজুমদার প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর স্পষ্টভাবে দেন এবং পেশাজীবী সংগঠনগুলিকে পরামর্শ দেন যেন তারা নিজেদের আলোচনা থেকে প্রস্তাবসমূহ একত্রিত করে। তিনি বলেন, “এখানে উপস্থিত সব সংগঠনকে অনুরোধ করছি, আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রস্তাবগুলি তৈরি করুন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান জী-র কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ