
ক্যানিং, ২৯ অক্টোবর (হি. স.): রাজ্য জুড়ে এসআইআরের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই পানিহাটিতে প্রদীপ কর নামে একজন এস আই আর আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন মঙ্গলবার। বুধবার সেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পানিহাটিতে মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছেন, ঠিক তখন বুধবার বিকেলে ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হেরোভাঙা বাজারে এই এস আই আরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করল তৃণমূল। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাসের নেতৃত্বে আয়োজিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুদীপ রাহা সহ অন্যান্যরা।
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একের পর এক তৃণমূল নেতৃত্ব এস আই আর ও ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। আগামী ২০২৬ এর নির্বাচনে জেতার জন্য এই এস আই আর নাটক শুরু করেছে বিজেপি বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পরেশ বলেন, “ আগামীদিন পশ্চিমবঙ্গে ভোট রয়েছে, তাই বাংলার নামে ভূত দেখছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ। বিহারে এসআইআর করে ৪০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দিয়েছেন। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যদি কোনও একটি ভোটারের নাম বাদ যায় তাহলে আমাদের থেকে খারাপ কেউ হবে না।” তিনি আরও বলেন, “ এসআইআরের নামে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। জার জেরে প্রদীপ কর আত্মহত্যা করেছেন। সকলের কাছে অনুরোধ কেউ ভয় পাবেন না। কারও কোনও ক্ষতি হবে না, আমরা ক্ষতি হতে দেব না।” প্রতিমা বলেন, “ বাংলাকে বারে বারে বঞ্চনা করা হচ্ছে। ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখে সুপ্রিম কোর্টে সপাটে চড় খেয়েছে। বাংলায় হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসআইআরের নামে বাংলাকে ভাঙার চক্রান্ত করছে বিজেপি। তা আমরা হতে দেবো না।”
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নওসাদ সিদ্দিকি থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারি সকলকেই এক হাত নেন পরেশ প্রতিমারা। আই এস এফ বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন প্রতিমা। তিনি বলেন, “ নওসাদকে তো কখনও বিজেপির বিরোধীতা করতে দেখা যায় না? তাঁদের বিরুদ্ধে কোথাও গিয়ে কোনও কথা বলে না। বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি এত কথা বললেও কোথাও সেই প্রতিবাদও করে না, আসলে এরা বিজেপিরই বি টিম হিসেবে কাজ করছে।” অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারিকে বিভীষণ বলে কটাক্ষ করেন সাংসদ। তিনি বলেন, “ নন্দীগ্রামের এই নেতা তৃণমূলে যখন ছিলেন তখন সমস্ত ধরনের পদে থেকে ক্ষমতা ভোগ করেছেন। এখন বিজেপিতে গিয়ে আমাদের দলের ক্ষতি করতে চাইছেন। এই বিভীষণকে আমরা এবার জব্দ করবো। ভোট চাইতে এলে বুঝিয়ে দিতে হবে এই বিভীষণকে বাংলায় তাঁদের কোনও ঠাই নেই।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা