“এই চরিত্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কী করে গড়া যাবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ“, কটাক্ষ তসলিমার
নয়াদিল্লি, ৩ অক্টোবর, (হি.স.): “এই হলো বাংলাদেশের একটা বড় সংখ্যক মুসলমানের চরিত্র। এই চরিত্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কী করে গড়া যাবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ! কারও কোনও আইডিয়া থাকলে জানান।” একাধিক নির্দিষ্ট উদাহরণ দিয়ে এই মন্তব্য করলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা
তসলিমা নাসরিন


নয়াদিল্লি, ৩ অক্টোবর, (হি.স.): “এই হলো বাংলাদেশের একটা বড় সংখ্যক মুসলমানের চরিত্র। এই চরিত্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কী করে গড়া যাবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ! কারও কোনও আইডিয়া থাকলে জানান।” একাধিক নির্দিষ্ট উদাহরণ দিয়ে এই মন্তব্য করলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

শুক্রবার তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “চঞ্চল চৌধুরীকে তারা ভালবেসেছিল।

কারণ চঞ্চলের অভিনয় তাদের ভাল লেগেছিল। চঞ্চলের গানও ভাল লেগেছিল তাদের। তারপর যখন ফেসবুকে চঞ্চলের ছবি দেখলো তাঁর মায়ের সঙ্গে, যে মায়ের সিঁথিতে ছিল সিঁদুর, তখনই চঞ্চলের প্রতি যত ভালবাসা ছিল উইথড্র করে নিল।

তারা বিশ্বাসই করতে পারলো না চঞ্চল হিন্দু। তারা তুই-তোকারি করতে লাগলো চঞ্চলকে, গালি দিতে লাগলো, ঘৃণা ছুঁড়তে লাগলো।

এরপর যশ রোহান যখন ছবি পোস্ট করলো দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে, কপালে তিলক বা সিঁদুর। তারা অবাক। তারা তো যশকে ভালবাসতো। যশের অভিনয় ভাল লাগতো তাদের!

এখন কী হবে? কী করে এখন ভালবাসবে যশকে, যশ তো হিন্দু! যশের জন্য যত ভালবাসা ছিল, মুহুর্তে উইথড্র করে নিল।

তারা বিশ্বাসই করতে পারলো না যশ হিন্দু। তারা তুই-তোকারি করতে লাগলো যশকে, গালি দিতে লাগলো, ঘৃণা ছুঁড়তে লাগলো।”

এর পরেই গোড়ায় উল্লেখিত প্রশ্নটি তুলতেছেন তসলিমা নাসরিন।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande