
দুর্গাপুর, ৩০ অক্টোবর (হি.স.) : দুর্গাপুরে মেডিকেল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় মাত্র ২০ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সরব নির্যাতিতার আইনজীবী। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি।
প্রসঙ্গত , ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১০ অক্টোবর রাতে। কলেজ থেকে খাবার খেতে বেরিয়ে ওড়িশার ওই ডাক্তারি পড়ুয়া গণধর্ষণের শিকার হন। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভের আবহের মধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নজির গড়ল দুর্গাপুর পুলিশ। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হল শেখ নাসিরউদ্দিন, শেখ সফিকুল, শেখ রিয়াজউদ্দিন, ফিরদৌস শেখ, অপু বাউরি এবং নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসিফ আলি। সকলের বাড়ি দুর্গাপুরের বিজড়া গ্রামে।
ঘটনার তদন্তে একাধিক ধাপ সম্পন্ন হয়। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হয়, রিয়াজউদ্দিন ও সফিকুলের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে। ২৪ অক্টোবর টিআই প্যারেডে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে ফিরদৌস শেখের নাম।
বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ঘটনার ২০ দিনের মাথায়, তদন্তকারী অফিসার আদালতে চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটে ওয়াসিফ আলির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা, শেখ নাসিরউদ্দিন, ফিরদৌস শেখ ও অপু বাউরির বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, ডাকাতি ও তোলাবাজির মামলা এবং শেখ রিয়াজউদ্দিন ও সফিকুল শেখের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।
নির্যাতিতার আইনজীবী পার্থ ঘোষ বলেন, “এটি একটি নির্মম গণধর্ষণ। আমরা দ্রুত ট্রায়ালের আবেদন জানিয়েছি এবং ৬ জনেরই সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাব।”
সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, “দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী দু’মাসের মধ্যে ট্রায়াল শুরু হয়ে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা