এসআইআর আসলে ‘চুপিচুপি কারচুপি’, কটাক্ষ কুণাল ঘোষের
কলকাতা, ৩০ অক্টোবর, (হি.স.): “এসআইআর আসলে ‘সাইলেন্ট ইনভিজ়িবল রিগিং’ অর্থাৎ ‘চুপিচুপি কারচুপি’।” বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এভাবে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের রাজ্যে ভোটার তালিকার এসআইআর (বিশেষ নিবিড় সংশোধন) ‘অনুষ্ঠানিক ভাবে’ শুরু হওয়ার
কুণাল ঘোষ


কলকাতা, ৩০ অক্টোবর, (হি.স.): “এসআইআর আসলে ‘সাইলেন্ট ইনভিজ়িবল রিগিং’ অর্থাৎ ‘চুপিচুপি কারচুপি’।” বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এভাবে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের

রাজ্যে ভোটার তালিকার এসআইআর (বিশেষ নিবিড় সংশোধন) ‘অনুষ্ঠানিক ভাবে’ শুরু হওয়ার আগেই বহু ভোটারের নাম তালিকা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে বলে দাবি তৃণমূলের। তাদের অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল এমন অনেক ভোটারের কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই তালিকায় নাম নেই। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী।

কুণাল কটাক্ষ করে সাংবাদিকদের জানান, ‘‘একাধিক এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল, এমন অনেকের এখন কমিশন ২০০২ সালের ভোটার তালিকা বলে যেটা ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে, তাতে নাম নেই। তাঁরা বিষয়টি ধরে ফেলছেন।’’ এর ব্যাখ্যা দাবি করে কুণাল জানিয়েছেন, অভিষেক আগেই রিগিং হচ্ছে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। সেই আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে।”

এই কারচুপির ‘উদাহরণ’-ও তুলে ধরেছেন কুণাল। তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কোচবিহারের নাটাবাড়ির দু’ নম্বর বুথের (এখন সেটি ৩০৩ নম্বর বুথের অন্তর্গত) ৭১৭ জন ভোটারের নাম ছিল। ‘হার্ড কপি’তে এখনও তা রয়েছে। কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২০০২ সালের তালিকায় দেখা গিয়েছে, ওই বুথের ভোটার সংখ্যা ১৪০।

কুণালের প্রশ্ন, বাকিরা কোথায় গেলেন। একই ভাবে মাথাভাঙার ৬০ নম্বর বুথের কথাও বলেছেন তিনি। সেখানে ২০০২ সালের তালিকায় ছিল ৮৪৬ জনের নাম। কমিশনের ওয়েসবসাইটে ২০০২ সালের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ৪১৬ জনের নাম রয়েছে। কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২০০২ সালের তালিকায় অশোকনগর বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথের ৩৪৩ থেকে ৪১৪ নম্বর ক্রমিক সংখ্যার ভোটারের নাম নেই। সেই নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande