চাঁদাবিলা গ্রামে তীব্র পানীয় জলের সংকট, প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষোভ গ্রামবাসীদের
ঝাড়গ্রাম, ৩০ অক্টোবর (হি.স.): সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে থাকা দুটি সাবমার্সিবল পাম্পের কারণে পানীয় জলের তীব্র সংকটে ভুগছেন লালগড়ের চাঁদাবিলা গ্রামের বাসিন্দারা। বারবার অভিযোগ জানিয়েও এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া
চাঁদাবিলা গ্রামে তীব্র পানীয় জলের সংকট, প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষোভ গ্রামবাসীদের


ঝাড়গ্রাম, ৩০ অক্টোবর (হি.স.): সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে থাকা দুটি সাবমার্সিবল পাম্পের কারণে পানীয় জলের তীব্র সংকটে ভুগছেন লালগড়ের চাঁদাবিলা গ্রামের বাসিন্দারা। বারবার অভিযোগ জানিয়েও এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা।

সূত্রের খবর, বিনপুর–১ ব্লকের অন্তর্গত চাঁদাবিলা গ্রামে দুটি সাবমার্সিবল পাম্প ছিল। প্রায় আট মাস আগে প্রথম পাম্পটি বিকল হয়ে পড়ে। এরপর দ্বিতীয় পাম্পটির উপর নির্ভর করেই গোটা গ্রামবাসী জল সংগ্রহ করতেন। কিন্তু অতিরিক্ত চাপের ফলে এক মাসের মধ্যেই সেটিও নষ্ট হয়ে যায়।

এরপর গ্রামবাসীরা বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান এবং ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগ, এতদিনেও পাম্পগুলি সারানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে গ্রামের প্রায় ৫০–৬০টি পরিবার বাধ্য হয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুই কিলোমিটার দূরের কাদোডাঙ্গা গ্রাম থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “আমাদের গ্রামে জলের খুব সমস্যা। প্রতিদিন অনেক দূর হেঁটে জল আনতে হয়। সকালে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যায়, তার আগে এইভাবে জল আনা খুব কষ্টকর। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সাড়া পাইনি। আমাদের একটাই দাবি—দুটি পাম্প যেন দ্রুত মেরামত করা হয়।”

এ বিষয়ে বিনপুর–১ ব্লকের বিডিও অনল সরকার জানান, “পুজোর পরে এই বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো




 

 rajesh pande