টাকারজলায় ৪২ পরিবারের বিজেপিতে যোগ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা
বিশালগড় (ত্রিপুরা), ১৮ নভেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা মঙ্গলবার টাকরজলায় ৪২টি পরিবারের মোট ১৩৫ জন ভোটারকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়ে ইউপিএ আমলে “দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা”র অভিযোগ তোলেন। নতুন সদস্যদের হ
বিজেপির যোগদান সভা


বিশালগড় (ত্রিপুরা), ১৮ নভেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা মঙ্গলবার টাকরজলায় ৪২টি পরিবারের মোট ১৩৫ জন ভোটারকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়ে ইউপিএ আমলে “দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা”র অভিযোগ তোলেন। নতুন সদস্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তারা “সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত” নিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, বর্তমানে দেশজুড়ে বিজেপির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে এবং সদস্য সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডাঃ সাহা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশ, রাজ্য এবং বিশেষত উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। ডোনার মন্ত্রক গঠনই তার প্রমাণ। দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে।”

তিনি আরও জানান, বুধবার তিনি বিহারে নতুন সরকার গঠনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিহারে একসময় গুণ্ডারাজ ও দুর্নীতি ছিল। এনডিএ সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। মানুষ এখন আর অশান্তি বা দুর্নীতি চায় না।”

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ইউপিএ শাসনামলে বহু কেলেঙ্কারি দেশে অস্থিরতা তৈরি করেছিল। অন্যদিকে বিজেপি সরকার দেশকে শক্তিশালী করছে এবং সীমান্তে সুরক্ষা জোরদার করেছে। “২০১৪ সালের আগে উত্তর-পূর্বে অব্যবস্থা ও অশান্তি ছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে।

ত্রিপুরার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ডাঃ সাহা দাবি করেন, কিছু মানুষকে এখনও বিভ্রান্ত ও উসকানি দেওয়া হচ্ছে। তিনি তাঁদেরও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। জনজাতি উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপিই একমাত্র দল যারা জনজাতি সমাজের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তিনি অভিযোগ করেন, সিপিআইএম শাসনামলে রাজ্যে খুন–সন্ত্রাস ছিল প্রবল। তিনি আরও দাবি করেন, ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গেও “জঙ্গল রাজের অবসান ঘটিয়ে” বিজেপি সরকার গঠন করবে।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা, দলের সিপাহীজলা জেলা (উত্তর) সভাপতি বিপ্লব চক্রবর্তী, মান্দাই মণ্ডল সভাপতি অভিজিৎ দেববর্মা, গোলাঘাটি মণ্ডল সভাপতি নারায়ণ দেবনাথ, টকরজলা মণ্ডল সভাপতি নির্মল দেববর্মা সহ জেলা ও মণ্ডল স্তরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande