হাফলঙে সপ্তাহব্যাপী বিশ্ব ঐতিহ্য সপ্তাহ উদযাপন শুরু
হাফলং (অসম), ১৯ নভেম্বর (হি.স.) : ভারত সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ গুয়াহাটি সার্কলের উদ্যোগে এবং উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের অধীনস্ত প্রত্নতত্ত্ব ও জেলা মিউজিয়াম বিভাগের সহযোগিতায়, হাফলং শহরে অবস্থিত অ্যাম্পি থিয়েটারে আজ বুধবার থেকে
বক্তব্য পেশ করছেন উকাপা স্বশাসিত পরিষদের সিইএম দেবোলাল গার্লোসা


হাফলং (অসম), ১৯ নভেম্বর (হি.স.) : ভারত সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ গুয়াহাটি সার্কলের উদ্যোগে এবং উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের অধীনস্ত প্রত্নতত্ত্ব ও জেলা মিউজিয়াম বিভাগের সহযোগিতায়, হাফলং শহরে অবস্থিত অ্যাম্পি থিয়েটারে আজ বুধবার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশ্ব ঐতিহ্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন শুরু হয়েছে।

আজ সকাল ১০টায় সপ্তাহব্যাপী বিশ্ব ঐতিহ্য সপ্তাহের উদ্বোধন করেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য দনপাইনন থাওসেন, পরিষদের অধ্যক্ষ মোহিত হোজাই, কার্যনির্বাহী সদস্য মনজিৎ নাইডিং, পার্বত্য পরিষদের প্রধানসচিব পার্থ জহরি এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

অসমের অন্যতম পাহাড়ি জেলার ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং সাংস্কৃতিক সচেতনতার লক্ষ্যে সাতদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ব ঐতিহ্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আজ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। আগামী ২১ নভেম্বর জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন এবং স্ক্যাচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এতে তরুণদের মধ্যে ঐতিহ্য সংরক্ষণ সম্পর্কে সৃজনশীল অভিব্যক্তি এবং সচেতনতাকে উৎসাহিত করতে সহায়ক হবে বলে মন করা হচ্ছে।

এদিকে আজ (বুধবার) সপ্তাহব্যপী বিশ্ব ঐতিহ্য সপ্তাহের উদ্বোধন করে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা বলেন, সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচিতে আমাদের জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, স্মৃতিস্তম্ভ এবং মানবতার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থানগুলির বৈচিত্র্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, ডিমাপুর, মাইবাং, হোজাই খাসপুর, যেখানেই ডিমাসা রাজার স্থাপত্য বা স্মারক রয়েছে সে গুলি সংরক্ষণ করে রাখার উদ্যোগ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের নেওয়া জরুরি।

হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব




 

 rajesh pande