সংস্কৃতি আমাদের অলঙ্কার : মুখ্যমন্ত্রী
আগরতলা, ২ নভেম্বর (হি.স.) : “সংস্কৃতি হচ্ছে আমাদের অলঙ্ককার। সংস্কৃতি ছাড়া কেউ বাঁচতে পারে না।” — সেনপাড়ায় আয়োজিত শততম সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। রবিবার বিকেলে পুরাতন আগরতলা ব্লকের স
সংস্কৃতি হাটে মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ২ নভেম্বর (হি.স.) : “সংস্কৃতি হচ্ছে আমাদের অলঙ্ককার। সংস্কৃতি ছাড়া কেউ বাঁচতে পারে না।” — সেনপাড়ায় আয়োজিত শততম সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। রবিবার বিকেলে পুরাতন আগরতলা ব্লকের সেনপাড়ায় বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মিশ্র সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ, যা আমাদের গর্বের বিষয়।

তিনি জানান, রাজ্য সরকার তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধারায় প্রতিভা রয়েছে এবং সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাট সেই প্রতিভার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

সংস্কৃতি হাটের মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং তারা আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। মহিলাদের জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সেনপাড়ার সংস্কৃতি হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ের ঘোষণা করেন। ত্রিপুরা রুরাল লাইভলিহুড মিশনের পক্ষ থেকে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এবং পুরাতন আগরতলা ব্লক এই উন্নয়ন কাজ সম্পাদন করবে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজন্য আমলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে ত্রিপুরার মানিক্য রাজাদের ঐতিহাসিক যোগসূত্রের কথাও স্মরণ করেন। তিনি সংস্কৃতির নিয়মিত চর্চা ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, সংস্কৃতি হাটকে কেন্দ্র করে পর্যটনের বিকাশের সম্ভাবনাও বাড়ানো প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডাঃ বিশাল কুমার ও ত্রিপুরা রুরাল লাইভলিহুড মিশনের সিইও তড়িৎ কান্তি চাকমা।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande