
শিলচর (অসম), ২ নভেম্বর (হি.স.) : দক্ষিণ অসম তথা বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলা পুলিশের ‘অপারেশন ফেক ডাক্তার’ অভিযানে গ্ৰেফতার হয়েছেন আরও দুই ভুয়ো চিকিৎসক। তাঁদের হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ভুয়ো নথিপত্রও। জেলার ধোয়ারবন্দ এবং জেলা সদর শিলচরের তারাপুর থেকে যে দুই ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা দুজন সুপল রায় এবং ইন্দ্ৰজিৎ রায়।
আজ রবিবার জেলা পুলিশের সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, 'অপারেশন ফেক ডাক্তার'-এর অধীনে কাছাড় পুলিশ পরপর দু-দিনের পৃথক অভিযানে মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার হিসেবে পরিচয়প্রদত্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
সূত্ৰের খবর, আজ (২ নভেম্বর) শিলচর শহরের তারাপুরে ইঅ্যান্ডডি কলোনিতে অবস্থিত ‘মা আয়ুর্বেদ’ নামের একটি ফার্মাসিতে অভিযান চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার সমকতলা থানার অন্তর্গত তাঁতপাড়া গ্রামের জনৈক মুকুন্দ রায়ের ছেলে ইন্দ্রজিৎ রায় (৩৯) নামের এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে কাছাড় পুলিশ। বেশ কিছুদিন থেকে তিনি নাকি নিজেকে একজন ভিজিটিং ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়ে রোগীর চিকিৎসা করছিলেন। পুলিশ এই ফাৰ্মাসি থেকে বেশকিছু প্রেসক্রিপশন এবং ভুয়ো নথিপত্ৰও বাজেয়াপ্ত করেছে।
পুলিশের সূত্রটি জানিয়েছে, একইভাবে নির্ভরযোগ্য এক তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার ধোয়ারবন্দ থানার অন্তর্গত ছোটজালেঙ্গা পার্ট-২-এর প্রয়াত মুকুন্দ রায়ের ছেলে সুপাল রায় (৪২)-কে গ্রেফতার করেছে। তিনি রোজকান্দি চা বাগানে ‘লক্ষ্মী মেডিক্যাল হল’ নামে একটি ফার্মাসি খুলে দীর্ঘদিন ধরে বৈধ শংসাপত্র ছাড়া রোগীদের চিকিৎসা করে ওষুধপত্র দিতেন। ফাৰ্মাসি থেকে পুলিশ প্ৰেসক্ৰিপশন সহ বহু নথিপত্ৰও বাজেয়াপ্ত করেছে।
কাছাড় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ সহ তাঁদের বৈধ-অবৈধ নথিপত্র ইত্যাদি যাচাই করা হচ্ছে। ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা অনুশীলনকারীরা কোনও বৃহত্তর নেটওয়ার্কের অংশ কিনা তা নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, এই দুজনের সঙ্গে এ পর্যন্ত কাছাড়ে মোট ১৭ জন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস