ত্রিপুরায় জনজাতি মহিলাদের স্বনির্ভর করতে “শুকর প্রতিপালন প্রকল্প”
তেলিয়ামুড়া (ত্রিপুরা), ২ নভেম্বর (হি.স.) : জনজাতি মহিলাদের আর্থিক ও সামাজিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে চালু হতে যাচ্ছে ‘শুকর প্রতিপালন প্রকল্প’, যার মাধ্যমে রাজ্যের হাজারো মহিলা আত্মনির্ভ
এলাকা পরিদর্শন করলেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা


তেলিয়ামুড়া (ত্রিপুরা), ২ নভেম্বর (হি.স.) : জনজাতি মহিলাদের আর্থিক ও সামাজিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে চালু হতে যাচ্ছে ‘শুকর প্রতিপালন প্রকল্প’, যার মাধ্যমে রাজ্যের হাজারো মহিলা আত্মনির্ভরতার পথে হাঁটবেন।

রবিবার জনজাতি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অন্তর্গত রামকৃষ্ণপুর এডিসি ভিলেজের জুমবাড়ি এলাকায় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের বাড়ি পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দফতরের একাধিক আধিকারিক ও পশুপ্রতিপালন বিশেষজ্ঞরা।

পরিদর্শনকালে বিশেষজ্ঞরা মহিলাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন— কীভাবে শুকর প্রতিপালন তাঁদের আর্থিক স্থিতি ও সামাজিক অবস্থানকে মজবুত করবে। জানা গেছে, রাজ্যজুড়ে প্রায় ১৫ হাজার জনজাতি মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন।

প্রত্যেক সুবিধভোগীকে প্রদান করা হবে শুকরছানা, খাদ্যসামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় পরিচর্যার উপকরণ, যার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। প্রকল্পে থাকবে বিশেষ ‘রিসার্কেল ব্যবস্থা’, যার মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা মাসিক প্রায় ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত স্থায়ী আয় করতে পারবেন।

মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, “আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য হল ত্রিপুরার জনজাতি মহিলাদের আত্মনির্ভর হিসেবে গড়ে তোলা। এই শুকর প্রতিপালন প্রকল্প সেই লক্ষ্য পূরণের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের মতে, সরকারের এই উদ্যোগ জনজাতি মহিলাদের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বালাবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande