ট্রেনে নেশা সামগ্রী আসার অভিযোগে আগরতলায় যুব ও মহিলা কংগ্রেসের বিক্ষোভ
আগরতলা, ২ নভেম্বর (হি.স.) : নেশা মুক্ত রাজ্য ও দেশ গঠনের কথা বলছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, অথচ সরকারি ট্রেনে করেই বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রী ত্রিপুরায় প্রবেশ করছে—এই অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসে উঠল কংগ্রেস। রবিবার রাজধানী আগরতলায় প্রদেশ যুব কংগ্রেস এবং মহিলা
যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভ


আগরতলা, ২ নভেম্বর (হি.স.) : নেশা মুক্ত রাজ্য ও দেশ গঠনের কথা বলছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, অথচ সরকারি ট্রেনে করেই বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রী ত্রিপুরায় প্রবেশ করছে—এই অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসে উঠল কংগ্রেস। রবিবার রাজধানী আগরতলায় প্রদেশ যুব কংগ্রেস এবং মহিলা কংগ্রেসের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৫ অক্টোবর জিরানিয়া রেলওয়ে স্টেশনে মালবাহী ট্রেনের দুটি বগি থেকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ নেশা সামগ্রী উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের দাবি, শাসক দলের একাংশ নেতা-কর্মী এই পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে যুব কংগ্রেস সভাপতি নীলকমল সাহা এবং মহিলা কংগ্রেস নেত্রী সর্বানী ঘোষ চক্রবর্তী কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চান—কীভাবে সরকারি ট্রেনে নেশা সামগ্রী রাজ্যে প্রবেশ করল এবং কারা এই চক্রের পেছনে রয়েছে।

নীলকমল সাহা বলেন, “১৫ অক্টোবর রাজ্যের ইতিহাসে এক কালো দিন। সরকারি ট্রেনে বহিঃরাজ্য থেকে দুই বগি ভর্তি নেশা সামগ্রী রাজ্যে এসেছে, অথচ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। সরকার নেশা মুক্ত ত্রিপুরার কথা বললেও বাস্তবে রাজ্য আজ নেশার করিডোরে পরিণত হয়েছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “যুব মোর্চার নেতারা নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার নামে বাইক র‍্যালি করলেও এখন তারা নীরব। তাদেরই একাংশ এই পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত।” যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। ততদিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande