
দুর্গাপুর, ৭ নভেম্বর (হি. স.) : মসজিদের সামনে থেকে এনুমারেশন ফর্ম বিলি! মসজিদের মাইকে ফর্ম সংগ্রহ করার আহ্বান। পঞ্চায়েত উপপ্রধানের উপস্থিতিতে রীতিমতো চাটাই বিছিয়ে শিবির করে দেওয়া হল এনুমারেশন ফর্ম। আর তাতেই নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে গলসী-১ নং ব্লকের বুদবুদের বনগ্রামে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি।
গত ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যে এসআইআর এর এনুমারেশন ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মতো বিএলও দের বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছানোর দায়িত্ব। গলসী-১ নং ব্লকের বনগ্রামে তার উল্টো হল। অভিযোগ, সাতসকালে মসজিদের মাইকে ঘোষনা করা হয় এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হবে মসজিদের সামনে। সকলকে মসজিদের সামনে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বেলা গড়াতেই গ্রামের মসজিদের সামনে চাটাই বিছিয়ে বসে পড়েন বিএলও বর্নালি পাঁজা। উপস্থিত তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। চাটাইয়ে বসে গ্রামবাসীদের ডেকে ফর্ম বিলি শুরু হয়। বিজেপির গলসী বিধানসভার সশক্তিকরন প্রমুখ কাজি হাসিবুর রহমান বলেন, সকালে মাঠে কাজ করছিলাম। তখন মাইকে ফর্ম নেওয়ার জন্য গ্রামবাসীর দের আসার আবেদন করে। তারপর গিয়ে দেখি, মসজিদের সামনে একটি দোকানের সামনে বসে ফর্ম বিলি করা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূলের বিএলএ বিলি করছেন। তখনই আপত্তি তুলি। এবং বাড়ি বাড়ি ফর্ম দিয়ে আসার আবেদন করি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছি। বর্ণালীদেবী সাফাই দিয়ে বলেন, মসজিদের সামনে বসে ফর্ম ঠিকঠাক করছি।আবার দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষন ঘড়ুইয়ের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ফের বিতর্কের ঝড় ওঠে দুর্গাপুরে। অভিযোগ বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদকে পাশে বসিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার ডক্টর ছবি নন্দী ও তিন নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি শিপুল সাহা দুর্গাপুরের অভিজাত এলাকা বিধাননগর এলাকায় এসআইআর ফর্ম বিলি করছেন। সমাজ মাধ্যমে অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তিনি। অভিযোগে বিজেপি বিধায়ক লক্ষন ঘড়ুই বলেন,দুর্গাপুর ২ নং ব্লকের তৃণমূলের নেতা শিপুল সাহা, সাংসদ কীর্তি আজাদ ও রাজ্যের মহান পুলিশ মিহির দে যিনি বিধান নগর ফাঁড়ির আইসি তাকে পাশে নিয়ে চারদিকে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে বিধান নগর পার্টি অফিসে বিএলও কে পাশে বসিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন। যা একপ্রকার ইলেকশন কমিশনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে করা হচ্ছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় আর ইলেকশন কমিশনের হস্তক্ষেপের দাবি জানাই। তিনি আরও বলেন,অসংবিধানিক কার্যকলাপের জন্য দয়া করে উক্ত বিএলও কে এই কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি। যদিও বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুইয়ের এই অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ। তিনি বলেন, লক্ষণ ঘোড়ুই তৃণমূল নিয়ে খুব চিন্তিত। তার জন্যই এইরকম কথাবার্তা বলছেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা