
কলকাতা, ৭ নভেম্বর (হি.স.): কর্মী, জনঅভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রকের পেনশন ও পেনশনভোগী কল্যাণ দফতর (ডিওপিপিডব্লিউ) ১ থেকে ৩০ নভেম্বর দেশজুড়ে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (ডিএলসি) অভিযান ৪.০-র আয়োজন করেছে। এই উদ্যোগ সরকারের “ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট অফ পেনশনার্স” কর্মসূচির অংশ।
অভিযানে স্যাচুরেশন অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের দুই হাজারেরও বেশি শহর ও শহরতলীর পেনশনভোগীদের বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
দফতর ২০২১ সালে শুরু হওয়া আধারভিত্তিক ফেস অথেন্টিকেশন প্রযুক্তির ব্যবহারকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে পেনশনভোগীরা স্মার্টফোন ব্যবহার করে বাড়িতে বসেই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন। ডাক বিভাগের ভারত পোস্ট পেমেন্টস ব্যাংক প্রবীণ ও শারীরিকভাবে অক্ষম পেনশনভোগীদের বাড়িতে গিয়ে এই সেবা প্রদান করছে। ব্যাংক, পেনশনভোগী সংগঠন এবং স্থানীয় অফিস সচেতনতা শিবির আয়োজন করে সরাসরি সহায়তাও দিচ্ছে।
ডিএলসি ৩.০ (২০২৪) চলাকালীন মোট ১.৬২ কোটি লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে ৫০ লক্ষ ফেস অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে তৈরি হয়। চলমান ডিএলসি ৪.০ (২০২৫)-র প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। ব্যাংক, আইপিপিবি, ইউআইডিএআই, মেইটি, সিজিডিএ, রেল এবং পেনশনভোগী কল্যাণ সংগঠনগুলির যৌথ প্রচেষ্টায় ২ কোটি লাইফ সার্টিফিকেট তৈরির লক্ষ্য পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে ৭ নভেম্বর ২০২৫ এ উপসচিব সামিন আনসারি এবং ইউআইডিএআই কলকাতার সহকারি ম্যানেজার প্রসূন হোর হুগলির ডিএলসি শিবির পরিদর্শন করেন। তাঁরা পেনশনভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন। দুই আধিকারিক ইউসিও ব্যাংক উত্তরপাড়া ও চুঁচুড়া শাখার অধীন আইপিপিবির শ্রীরামপুর এইচপিওর প্রতিনিধিদের সঙ্গে পেনশনভোগীদের ফেস অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে লাইফ সার্টিফিকেট তৈরিতে সহায়তা করেন।
শিবিরগুলি শ্রীরামপুর ও উত্তরপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। দুই স্থানেই উৎসাহী মানুষের অংশগ্রহণ দেখা যায়।
এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ