নিপুণ ফেস্টের উদ্বোধনে গুণগত শিক্ষায় আগামীর মানবসম্পদ গঠনের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
আগরতলা, ১১ ডিসেম্বর (হি.স.) : শিশুদের গুণগত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আগামী দিনের যোগ্য মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শিক্ষা আধিকারিক কার্যালয়ের উদ্যোগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভ
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা


আগরতলা, ১১ ডিসেম্বর (হি.স.) : শিশুদের গুণগত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আগামী দিনের যোগ্য মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শিক্ষা আধিকারিক কার্যালয়ের উদ্যোগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত নিপুণ ফেস্ট ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ‘ফ্রম বাডস টু ব্রিলিয়ান্স’ শীর্ষক নিপুণ ত্রিপুরা পুস্তিকার আবরণ উন্মোচন করেন। পাশাপাশি নিপুণ ত্রিপুরা মিশনের অধীনে তিন মাসের ভাষাগত ও গাণিতিক অগ্রগতিতে সাফল্য অর্জনকারী বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করেন। এদিন জেলা শিক্ষা আধিকারিক, বিদ্যালয় পরিদর্শক, নিপুণ কো-অর্ডিনেটরসহ মোট ৬ জন ব্লক ও ক্লাস্টার রিসোর্স পার্সনকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চারাগাছকে শৈশব থেকেই যত্নে লালন করলে যেমন তা ফলপ্রসূ হয়, ঠিক তেমনই শিশুকাল থেকেই গুণগত শিক্ষা দিলে প্রকৃত মানবিক বিকাশ সম্ভব।” তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে চালু হওয়া নিপুণ মিশন শিক্ষাক্ষেত্রে একটি কার্যকর পদক্ষেপ। খেলার ছলে শিক্ষাদান শিশুদের শেখার আগ্রহ ও মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায় বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।

শিক্ষকদের ভূমিকা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শিক্ষকরা হলেন সমাজ গঠনের কারিগর। তাঁদের হাত ধরেই তৈরি হয় ভবিষ্যতের মানবসম্পদ।” তিনি জানান, তিন বছর আগে চালু হওয়া নিপুণ ত্রিপুরা মিশন বর্তমানে রাজ্যের ৪ হাজার ২০০টি বিদ্যালয়ে সফলভাবে কার্যকর হচ্ছে। রাজ্যে শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে—নতুন মহাবিদ্যালয় স্থাপন, মহিলা মহাবিদ্যালয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত, উচ্চশিক্ষাকে মহকুমা স্তরে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, শিক্ষার উন্নয়নে গত পাঁচ বছরে রাজ্যে ৫,২১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ২১৫ জন গ্রন্থাগারিক এবং ৫৬৭ জন এমটিএস নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও সি.এম. সাথ প্রকল্প, মুখ্যমন্ত্রী কন্যা সন্তান প্রকল্প, দিব্যাঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ স্কলারশিপ, নবম শ্রেণির ছাত্রীদের বাইসাইকেল বিতরণ-সহ একাধিক প্রকল্প নিয়েও তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের অধিকর্তা এন.সি. শর্মা, প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের অধিকর্তা রাজীব দত্তসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষে মুখ্যমন্ত্রী ও অতিথিরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্যোগে খোলা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande