'কাকোরি ট্রেন অভিযান'-এর ৩ শহিদকে স্মরণ শাহর, অভিযানে ছিলেন ৩ বঙ্গসন্তানও
অশোক সেনগুপ্ত নয়াদিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর (হি স): “কাকোরি ট্রেন অভিযানের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন শক্তি জুগিয়ে ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি কাঁপিয়ে দেওয়া পণ্ডিত রাম প্রসাদ বিসমিল জি, আশফাক উল্লাহ খান জি এবং রোশন সিং জি-এর শহীদ দিবসে আমি শ্রদ্ধাঞ্জলি জা
অমিত শাহ


অশোক সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর (হি স): “কাকোরি ট্রেন অভিযানের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন শক্তি জুগিয়ে ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি কাঁপিয়ে দেওয়া পণ্ডিত রাম প্রসাদ বিসমিল জি, আশফাক উল্লাহ খান জি এবং রোশন সিং জি-এর শহীদ দিবসে আমি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।” শুক্রবার এক্সবার্তায় এ কথা লিখলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি লিখেছেন, “দেশের সম্পদ এবং পরিশ্রমী দেশবাসীর শ্রম দ্বারা উৎপাদিত পণ্যের উপর কেবল দেশের জনগণেরই অধিকার। এই যোদ্ধারা কেবল এই সংকল্পই উপলব্ধি করেননি, বিপ্লবীদের সাহস ও বীরত্বের অনুপ্রেরণাও হয়ে ওঠেন। দেশ এই আত্মত্যাগ কখনও ভুলবে না।”

শাহর বার্তায় তিন জনের নাম থাকলেও ওই অভিযানে ছিলেন তিন বঙ্গসন্তান। তাঁরা হলেন

রাজেন্দ্র লাহিড়ী, শচীন্দ্রনাথ বক্সী এবং যোগেশ চন্দ্র চ্যাটার্জি। রাজেন্দ্রর ফাঁসি হয় বাকি তিন শহিদের ফাঁসির দু’দিন আগে, ১৭ ডিসেম্বর। বিপ্লবী যোগেশ চন্দ্র চ্যাটার্জির দীর্ঘ কারাদণ্ড হয়। পরে সেটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। শচীন্দ্রনাথ বক্সীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ১৩ জুলাই ১৯২৭ তারিখে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তায় এই তিন জনের নামোল্লেখ নেই। এর একটা সম্ভাব্য কারণ এই তিন জনের মধ্যে দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। অপর একজন শহিদ হয়েছিলেন দু’দিন আগে।

প্রসঙ্গত, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ১৯২৫ সালের ৯ আগস্ট উত্তর প্রদেশের কাকোরি স্টেশনের কাছে ব্রিটিশ সরকারের তহবিল লুট করে বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার জন্য হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন-এর বিপ্লবী এই ট্রেন ডাকাতি করে। ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের ব্রিটিশ সরকার গ্রেফতার করে। শাহজাহানপুর থেকে লখনউগামী ৮ নম্বর ডাউন ট্রেনে বিপ্লবীরা জরুরি চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে ব্রিটিশ সরকারের প্রায় ৪৬০০ টাকা লুট করে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande