
ঝাড়গ্রাম, ২ ডিসেম্বর (হি.স.): বাড়িতে বসেই চলছিল দেদার জাল লটারির ব্যবসা। বিভিন্ন ধরনের মেশিন বসিয়ে তৈরি করা হয়েছিল পুরো নেটওয়ার্ক। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জামবনি থানার পুলিশ শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে ওই জাল লটারি কারবারির মূল পান্ডাকে। মঙ্গলবার তাকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ সাদেকুল হক আনসারি, বাড়ি চিঁচিড়া এলাকায়। সোমবার রাতে জামবনি থানার আইসি অভিজিৎ বসু মল্লিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চিঁচিড়া বাজার এলাকায় তল্লাশি চালায়। সেই অভিযানে ছিলেন এসআই অর্ণব মণ্ডলও। পুলিশ একটি বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকার জাল লটারি, লটারি ছাপানোর মেশিন, কাটিং মেশিন, একাধিক কম্পিউটার ও নগদ টাকা উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় সাদেকুলকে।
মঙ্গলবার তাকে ঝাড়গ্রাম আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযুক্ত স্বীকার করে যে দীর্ঘদিন ধরেই সে অবৈধ লটারি ব্যবসা চালাচ্ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ‘নাগাল্যান্ড ডিয়ার’ ও ‘গঙ্গা লটারি’র নামে এই জাল টিকিট বিক্রি করা হত। আসল ডিয়ার লটারির ফলাফলের সঙ্গে মিলিয়ে বাজারে এই জাল লটারি চালানো হত। প্রতিদিন কোটি টাকার জাল লটারি তার ছাপাখানায় ছাপা হতো বলেও পুলিশের অনুমান।
এখন পুলিশের লক্ষ্য, এই জাল লটারি চক্রে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে, সাদেকুলকে হেপাজতে নিয়ে সেই দিকেই তদন্ত এগোচ্ছে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো