আলুবীজ ও আলুচাষে স্বয়ম্ভরতার রোডম্যাপ দেখালেন ত্রিপুরার কৃষিমন্ত্রী রতনলাল
মোহনপুর (ত্রিপুরা), ২ ডিসেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরা আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আলুবীজ উৎপাদন ও আলুচাষে স্বয়ম্ভর হয়ে উঠবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ। মঙ্গলবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মোহনপুর কৃষি মহকুমা অফিস প্রাঙ্গণে উন্নত
বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ


মোহনপুর (ত্রিপুরা), ২ ডিসেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরা আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আলুবীজ উৎপাদন ও আলুচাষে স্বয়ম্ভর হয়ে উঠবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ। মঙ্গলবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মোহনপুর কৃষি মহকুমা অফিস প্রাঙ্গণে উন্নত প্রজাতির আলুবীজ ও কৃষি সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে তিনি জানান, ২০২৮-২৯ সালে আলুবীজ উৎপাদনে এবং ২০২৯-৩০ সালে আলুচাষে রাজ্যকে সম্পূর্ণ স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে দফতর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজ্যের ৭ হাজার ৬২২ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়। বছরে ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার কেজি আলুর চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় ১৪ লক্ষ ৪৬ হাজার কেজি। খুব শীঘ্রই এই ঘাটতি পূরণ করে উদ্বৃত্ত আলু উৎপাদনের দিকেও এগুচ্ছে ত্রিপুরা।

তিনি আরও বলেন, কুফরি হিমালিনি প্রজাতির আলুর চাহিদা অত্যন্ত বেশি। প্রতি কানিতে ৪ থেকে ৬ হাজার কেজি উৎপাদন হওয়ায় কৃষকরা এই জাতের প্রতি বাড়তি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ২০২৩ সালে ১০৪ জন, ২০২৪ সালে ৪০০ জন এবং চলতি বছরে ৫ হাজার কৃষককে এই প্রজাতির আলুবীজ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর লিমা থেকে এই বীজ আনা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কৃষিমন্ত্রী জানান, আলুর পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষেও জোর দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে সাদা ও লাল দুই ধরনের পেঁয়াজেরই চাষ বাড়ানো হচ্ছে। দেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে কৃষকদের ভূমিকা অপরিসীম বলে মন্তব্য করেন তিনি। কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পে ত্রিপুরার ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫২১ জন কৃষক ইতিমধ্যে সহায়তা পেয়েছেন বলেও মন্ত্রী জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি তত্ত্বাবধায়ক সৌমিত্র দে। উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন অনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারপার্সন শংকর দেব, মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জীব কুমার দাস, ত্রিপুরা ফার্মার্স ক্লাবের সভাপতি প্রদীপ বরণ রায়, কে.ভি.কে. ধলাইয়ের কৃষি বিজ্ঞানী ডঃ অভিজিত দেবনাথ প্রমুখ।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande