কাশিমপুরে ভাড়াটিয়া পরিবারের উপর নৃশংস হামলা, আহত শিশু-সহ ৩
ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর (হি.স.): বাংলাদেশের গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানা এলাকার দক্ষিণ পানিশাইল এলাকায় তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এক ভাড়াটিয়া দম্পতি ও তাদের শিশু সন্তানের ওপর বর্বরোচিত হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, বর্জ্য ব্যবসায়ী আবুল বাশার
কাশিমপুরে  এক পরিবারের উপর নৃশংস হামলা


ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর (হি.স.): বাংলাদেশের গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানা এলাকার দক্ষিণ পানিশাইল এলাকায় তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এক ভাড়াটিয়া দম্পতি ও তাদের শিশু সন্তানের ওপর বর্বরোচিত হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, বর্জ্য ব্যবসায়ী আবুল বাশারের বড় ছেলে এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় এক ভাড়াটিয়া দম্পতি এবং তাঁদের শিশু সন্তান গুরুতর আহত হয়েছে। দম্পতি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে শনিবার।

আক্রান্ত মো. আতিক (২৮) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, দিনকয়েক আগে তাঁর চার বছরের ছেলে ইয়ামিন আরাফাতের সঙ্গে আবুল বাশারের ছোট ছেলের খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আবুল বাশারের বড় ছেলে মোহাম্মদ অন্তর (২৭) এবং প্রান্ত (২০) পরিকল্পিতভাবে লোহার রড দিয়ে আতিকের উপর আক্রমণ করে।হামলার সময়, আতিকের স্ত্রী আফরিন (২৪) স্বামীকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও লোহার রড দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে যে আফরিনের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে যার জন্য পাঁচটি সেলাই করতে হয়েছে, আর আফরিনের ১৫টি সেলাই করতে হয়েছে। হামলাকারীরা চার বছরের একটি শিশুকেও রেহাই দেয়নি, তাকেও মেরে রক্তাক্ত করেছে। হামলার পর আহতদের নিকটবর্তী একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে তাদের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতিক এবং তার স্ত্রী বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত আবুল বাশার এলাকার প্রভাবশালী । প্রতিবেশীদের অভিযোগ, সে ব্যবসার আড়ালে একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত এবং তোলাবাজি সহ অসংখ্য অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এলাকার বাসিন্দা এবং ভাড়াটেরা দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার।

এই ঘটনায়, আক্রান্ত আতিক কাশিমপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি




 

 rajesh pande