
ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর (হি. স.) : ১৭ বছর পর নিজের চেনা শহর, চেনা রাজপথে ফিরলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান । বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ তিনি যখন ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন, তখন সেখানে আবেগঘন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বিমান থেকে নেমেই খালেদা পুত্র সটান এগিয়ে যান বিমানবন্দরের ভেতর অবস্থিত একটি ফুলের বাগানের দিকে। সেখানে জুতো খুলে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এরপর নীচু হয়ে দু’হাতে তুলে নেন একমুঠো মাটি। দীর্ঘ প্রবাস জীবনের পর জন্মভূমির মাটির স্পর্শ যেন তাঁকে স্মৃতিকাতর করে তোলে।
ঢাকায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তারেক রহমান । তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। এরপর বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে ভিআইপি গেট দিয়ে বাইরে আসতেই সমর্থকদের গগণবিদারী চিৎকারে কেঁপে ওঠে বিমানবন্দর এলাকা।
তারেকের সুরক্ষায় ছিল নজিরবিহীন ব্যবস্থা। সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশের কড়া পাহারায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আগে থেকে প্রস্তুত করা একটি লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাসে। বাসের সামনের আসনে বসেই সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন তিনি। বিমানবন্দর থেকে তাঁর গন্তব্য ছিল পূর্বাচলের ৩০০ ফুট এলাকা, যেখানে তাঁর জন্য এক বিশাল গণ-সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানও।
অতীত ও প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপট: ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় দেড় বছর কারাবন্দি ছিলেন তারেক। এরপর ২০০৮ সালের অক্টোবরে চিকিৎসার দোহাই দিয়ে এবং রাজনীতি থেকে সাময়িক বিরতির মুচলেকা দিয়ে সপরিবারে লন্ডনে পাড়ি জমান তিনি। গত দেড় দশকে লন্ডনে থেকেই দলের হাল ধরেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে তারেক লিখেছিলেন যে, তাঁর দেশে ফেরা কেবল তাঁর একক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল নয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর দেশে ফেরার পথে আইনি ও নিরাপত্তাজনিত সব বাধা দূর করা হয়।
হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি