উদয়পুরে অটো পারমিট নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা, ক্ষোভে ফুঁসছেন ২০–২৫ চালক
উদয়পুর (ত্রিপুরা), ৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : পর্যাপ্ত সরকারি চাকরির সুযোগ না থাকায় জীবিকার সন্ধানে অটো রিক্সা চালানোর পথে হাঁটছেন উদয়পুরের প্রায় ২০–২৫ জন যুবক। কিন্তু অটো নামানোর প্রক্রিয়ায় বাজাজ কোম্পানির স্থানীয় ম্যানেজারের প্রতিশ্রুতিতে ভরসা করে তা
অটো চালকরা হতাশ


উদয়পুর (ত্রিপুরা), ৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : পর্যাপ্ত সরকারি চাকরির সুযোগ না থাকায় জীবিকার সন্ধানে অটো রিক্সা চালানোর পথে হাঁটছেন উদয়পুরের প্রায় ২০–২৫ জন যুবক। কিন্তু অটো নামানোর প্রক্রিয়ায় বাজাজ কোম্পানির স্থানীয় ম্যানেজারের প্রতিশ্রুতিতে ভরসা করে তাঁরা আজ চরম দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।

অভিযোগ, ব্রহ্মাবাড়িস্থিত বাজাজ কোম্পানির ম্যানেজার কৃষ্ণ বনিক গত কয়েক মাস আগে এই যুবকদের আশ্বাস দেন যে ১০–১২ দিনের মধ্যেই তাঁদের অটো পারমিট হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই বিশ্বাসে প্রণয় দাস, গোপাল দাস বৈষ্ণব, মিল্টু বর্মন, তোফাজ্জল মিয়া সহ আরও বহু যুবক ফাইন্যান্স কোম্পানি থেকে এক লক্ষ টাকারও বেশি লোন নিয়ে কোম্পানির কাছে টাকা জমা দেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রায় কুড়ি হাজার টাকাও নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

কিন্তু ৩–৪ মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত পারমিট মেলেনি। প্রতিদিন কোম্পানিতে যোগাযোগ করেও ম্যানেজারের কাছ থেকে কোনও স্পষ্ট জবাব পাচ্ছেন না বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত যুবকেরা। বুধবার অভিযোগকারীরা কোম্পানিতে দেখা করতে গেলে ম্যানেজার নাকি এড়িয়ে চলে যান—এমনটাই দাবি তাঁদের।

পারমিট না থাকায় অটো রাস্তায় নামালেই পুলিশের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে চালকদের। ফলে কিস্তি দেওয়া, সংসারের খরচ চালানো—সবই হয়ে উঠছে কঠিন। চালকদের কথায়, “পারমিট ছাড়া আমরা কোথায় যাব, কিভাবে বাঁচব বুঝে উঠতে পারছি না।” অটো চালকদের দাবি, সরকার যেন মানবিক দৃষ্টি নিয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে তাঁদের পারমিট প্রদান নিশ্চিত করে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande